বেদান্ত গ্ৰন্থ । 《r তৃতীয় বাক্য এই যে ব্ৰহ্ম উপাসনা করিলে মনুষ্যের লৌকিক ভদ্রাভদ্র জ্ঞান এবং দুৰ্গন্ধি সুগন্ধি আর অগ্নি ও জলের পৃথক জ্ঞান থাকে না, অতএব সুতরাং ঈশ্বরের উপাসনা গৃহস্থ লোকের কি রূপে হইতে পারে। উত্তর । তাহারা কি প্রমাণে এবাক্য রচনা করেন তাহা জানিতে পারি নাই যে কুতু আপনারাই স্বীকার করেন যে নারদ জনক সনৎকুমারাদি শুক বশিষ্ঠ ব্যাস কপিল প্ৰভৃতি ব্ৰহ্মজ্ঞানী ছিলেন। অথচ ইহারা অগ্নিকে অগ্নি জলকে জল ব্যবহার করিতেন এবং রাজ্য কৰ্ম্ম আর গাৰ্হস্থ্য এবং শিষ্য সকলকে জ্ঞানোপদেশ যথাযোগ্য করিতেন। তবে কি রূপে বিশ্বাস করা যায় যে ব্ৰহ্মজ্ঞানীর ভদ্রাভদ্রাদি জ্ঞান কিছুই থাকে নাই আর কি রূপে এ কথার আদর লােকে করেন তাহা জানিতে পারি না। বিশেষতঃ আশ্চৰ্য্য এই যে ঈশ্বরের উপাসনাতে ভদ্রাভদ্র জ্ঞান থাকে আর ব্ৰহ্ম উপাসনাতে ভদ্রাভদ্র জ্ঞানের বহির্ভূত হইয়া লোক ক্ষিপ্ত হয়। ইহাও লোকের বিশ্বাস জন্মে। যদি কহ সর্বত্ৰ ব্ৰহ্মজ্ঞান করিলে ভেদ জ্ঞান আর ভদ্রাভদ্রের জ্ঞান কেন থাকিবেক তাহার উত্তর এই যে লোক যাত্ৰ নিৰ্বাহ নিমিত্ত পূর্ব পূর্ব ব্ৰহ্মজ্ঞানীর ন্যায় চক্ষু কৰ্ণ হস্তাদির কৰ্ম্ম চক্ষু কৰ্ণ হস্তাদির দ্বারা অবশ্য করিতে হয় এবং পুত্রের সহিত স্থিতার কৰ্ম্ম পিতার সহিত পুত্রের ধৰ্ম্ম আচরণ করিতে হইবেক যেহেতু এসকল নিয়মের কৰ্ত্ত ব্ৰহ্ম হয়েন। যেমন দশ জন ভ্ৰম বিশিষ্ট মনুর্য্যের মধ্যে একজন অভ্রান্ত যদি কালক্ষেপ করিতে চাহে সেই ভ্রম * বিশিষ্ট লোক সকলের অভিপ্ৰায়ে দেহ যাত্রার নির্বাহাৰ্থ লৌকিক আচরণ করিবেক ॥৩ ৷৷ চতুৰ্থ বাক্য প্ৰবন্ধ এই যে পুরাণে এবং তন্ত্রাদিতে নানাবিধ সাকার উপাসনার প্রয়োগ আছে অতুএবসাকার উপাসনা কৰ্ত্তব্য। তাহার উত্তর এই। পুরাণ এবং তন্ত্ৰাদিতে যেমন সাকার উপাসনার বিধি আছে সেই রূপ জ্ঞান প্রকরণে তাঁহাতেই লিখেন যে এসকল যত
