পাতা:রাজা রামমোহন রায়ের সংস্কৃত ও বাঙ্গালা গ্রন্থাবলী.pdf/৭৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

beb- রামমোহন রায়ের গ্রন্থাবলী। পড়িতেছেন ; দ্বিতীয়ের উদাহরণ, আমি আর আমার ভ্রাতা পড়িতেছি। তিনি থাকিবেন, কিম্বা। আমি থাকিব, আমি অথবা তিনি থাকিবেন। “ও” যখন সমুচ্চয়ার্থে এবং অর্থাধিক্যবিষয়ে কোন সংজ্ঞার কিম্বা প্ৰতিসংজ্ঞার পরে প্রযুক্ত হয়, তখন অন্য এক ক্রিয়া, সে উক্ত কিম্বা উহ্য হউক, তাহার সহিত অন্বয়বোধক হয় ; যেমন আমিও যাইব, অর্থাৎ তুমি যাইতেছ। এ ক্রিয়ার উহ্য হইয়াছে—তুমি যাইতেছ, আমিও যাইব ; আমাকেও "তুচ্ছ করিলেক অর্থাৎ সে পূর্বে অন্য সকলকে তুচ্ছ করিয়াছিল, এখন আঁমাকেও তুচ্ছ করিলেক । ( একাদশ পরিচ্ছেদ । অন্তর্ভাব বিশেষণ । ( ) যে সকল শব্দ বক্তার অন্তঃকরণের ভাবকে কখন বাক্যস্থিত হইয়া কখন বা কেবল স্বয়ং উচ্চারিত হইয়া বোধ জন্মায় তাহাকে অন্তঃর্ভাব বিশেষণ কহি ; যেমন হায় আমি আযোগ্য কৰ্ম্ম করিলাম ! এ প্ৰকার শব্দ সকল নানাবিধ অন্তঃকরণের ভাব সকল কািহত নানা প্রকার হয়। ইহার মধ্যে কতক শব্দ চিন্তা অথবা বেদনাকে জানায়, যেমন হয়, আঃ, উঃ ইত্যাদি ; আর কতক শব্দ রক্ষার প্রার্থনাতে প্ৰয়োগ হয়, যেমন ত্ৰাহি, দোহাই ইত্যাদি। আহা, এ দয়ার সূচক হয়। হা,* খেদোক্তি। ছি, ঘৃণাবোধক। আচ্ছা, বাহবা, উত্তম ইত্যাদি প্ৰশংসা । সুচক। হাঁ, ইত্যাদি স্বীকারার্থ। ই হাঁ, ঝাটােত বারণার্থে। মহাভারত, রাম রাম, অযোগ্য বিষয়ের সুচক । আশ্চৰ্য্য, কি আশ্চৰ্য্য ইত্যাদি অদ্ভুত Çवांषत्। আভিমুখ্য প্রার্থনাতে ও, হে, গে, রে, লো ইত্যাদি ব্যবহার হইয়া থাকে, যাকে সম্বোধনবোধক অব্যয় শব্দ কহিয়া থাকেন।