३बां কৌমুদী bros হাজার হস্ত উৰ্দ্ধে উঠিল এবং যে স্থান হইতে উঠিল সে স্থান হইতে অন্ধ ক্রোশের অধিক দূরে পড়িল । এই বিষয় জনরব হইলে ঐ দুই ভ্ৰাতা রাজধানী নগরে আকৃত জেইল এবং সেখানে তাহারা অনেক প্ৰকাৰ পৰীক্ষা করিতে করিতে শেষে রাজাকে দেখাইবার কাবণ চল্লিশ হস্ত উচ্চ ও আটাইশ হস্ত আয়তন অতি বড় এক বেলুন প্ৰস্তুত করিলেন ; ঐ বেলুনের সহিত এক টুকরি সংলগ্ন করিয়া বান্ধিল, ও তাহাতে এক মেষ ও এক কুকুট ও এক হংস রাখিল । এই তিন পশু প্রথম স্যাকাশযাত্ৰী হম। ঐ বেলুন উঠিবাৰ পূৰ্ব্বে বৃহৎ বায়ু দ্বারা তাতার বস্তু ছিন্ন চঠিল, কিন্তু সে এক সহস্ৰ হস্ত উদ্ধে উঠিল, এবং বিশ” পালে আকাশ ভ্ৰমণ কবিয়া যেখােন ইষ্টতে উঠিয়াড়িল সেখান চাইতে এক” ফ্লোশ দূরে পড়িল, ঐ তিন পশুপ কিছু ক্ষতি হইল না। • এই এই পরীক্ষা দ্বারা জানা গেল যে বেলুনে মনুষ্য নির্ভাবনায় আকাশ, পথে গমন করিতে পারে ; অতএব পিলান্তর সাহেব আকাশযাত্ৰা করিতে সসািজ হইলেন ; তপ্লিমিস্তু এক বেলুন প্রস্থত হইল ও তাঙ্গার নীচে অগ্নি স্থান ও অগ্নি জালাইবার দ্রব্য আয়োজন হইল । তাবৎ যন্ত্রেব পরিমাণ বিশ মণ। ১৭৮৩ শালে ১৫ অক্টোবর এই বেলুনের পরীক্ষা হইল এবং ঐ পিলাতর সাহেব। আপনি বেলুনের নীচে বসিলেন ও তাহার মধ্যে আগ্নেয় আকাশ দেওয়া গেল, এবং সে সাহেব ছাপপন্ন হস্ত পৰ্য্যন্ত উৰ্দ্ধে উঠিলেন। এই প্ৰথমবার মনুষ্য বংশ আকাশ গমন করিল। কতক দিশ পরে সেই বেলুন। এক শত চৌয়াল্প হস্ত পৰ্য্যন্ত উঠিল, যখন বেলুন নামিতে লাগিল তখন ওলাহেব অগ্নিতে জ্বাল দিতে লাগিলেন, তাহাতে বেলুন আগ্নেয় আকাশতে পূৰ্ণ হইয়া পুনৰ্বারা উঠিল। তাহার পরে সেই বেলুন দুই শত বিশ হন্ত পৰ্যন্ত উঠিল এবং পারিস নগরের উপরে লোকেরদের দৃষ্টিগোচরে উজীয়ৰাম হইয়ু তেইশ পল থাকিল।
