পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৮৭ ) যদি দৈবাৎ কোন রূপে সহমরণ অনুমরণ করিতে না পারে, তথাপি বিধবা শীল রক্ষা করিবেক ; যদি ধৰ্ম্ম রক্ষা না করে, তবে সে স্ত্রী নরকে গমন করে। আর এই অর্থকে দৃঢ় করিবার নিমিত্ত অঙ্গিরা বচন লিখিয়াছেন। নানোহি ধৰ্ম্মোবিজ্ঞেয়োমৃতে ভর্তার কহি । ড়িৎ ॥ এবং ইহার অর্থ লিথিয়াছেন, যে সাধবী স্ত্রীর এমন ধৰ্ম্ম অণর নাই, অর্থাৎ সহগমন অমৃগমন তুল্য এ রূপ প্রধান ধৰ্ম্ম আর নাই। উত্তর । —অঙ্গিরার ঐ বচনের শব্দ হইতে এই অর্থ নিষ্পন্ন হয়, যে সহমরণ ব্যতিরেক স্ত্রীলোকের অন্য কোন ধৰ্ম্ম নাই ; এবং স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচার্য্য এই অর্থ স্বীকার করিয়া বিষ্ণু বচনের সহিত একবাকাত করিবার নিমিত্ত লিখেন, যে অঙ্গিরার বচনে সহমরণ বিনা আর ধৰ্ম্ম নাই যে এই অর্থ নিম্পন্ন হয়, তাহা সহমরণের প্রশংসা মাত্র জানিৰা, কিন্তু আপনি শকদার্থের অন্যথা করিম এবং স্মাৰ্ব ভট্টাচার্যোর ,ব্যাখ্যার অন্যথা করিয়া স্বমত স্থাপনের নিমিত্ত অর্থ করেন, যে সহগমন অনুগমন তুল্য প্রধান ধৰ্ম্ম আর নাই । অতএব এ রূপ শাস্ত্রার্থের অন্যথা করিয়া স্বর্গের প্রলোভ দেখাইয়া এ রূপ অবলা স্ত্রীবধেতে প্রবর্ত হওয়াতে কি স্বার্থ দেখিয়াছেন ? তাহ জানিতে পারি না । স্বন্দ পুরাণ বলিয়া যে বচন লিখিয়াছেন; ইহা যদি সমৃলক হয়, তবে স্মাৰ্ত্ত ভট্টাচার্যা, নানোহি ধৰ্ম্ম-– এই অঙ্গিরার বচনে যে সিদ্ধাস্ত করিয়াছেন, সেই সিদ্ধান্ত এ বচনেরও জানিবে, অর্থাৎ ময় বিষ প্রভৃতি বচনের অন্তবোধে স্বন্দ পুরাণের বচনেতে যে সহমরণের প্রাধানা লিখেন, সে সহমরণের প্রশংসা মাত্র জানিবেন, যে হেতু শ্রুতি, স্মৃতি, ভগবদগীতা প্রভৃতি সৰ্ব্ব শাস্ত্রে নিন্দিত যে স্বর্গ কামনা, এমত কামনা বিশিষ্ট সহমরণকে রহ্মচর্য্য ধৰ্ম্ম যাহাতে নিষ্কাম কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান দ্বারা চিত্তশুদ্ধি হইয়া মোক্ষ হওনের সম্ভাবনা আছে, তাহা হইতে শ্রেষ্ঠ করিয়া কুখন সৰ্ব্ব প্রকারে অগ্রাহ ও পূর্ব পূর্ব আচার্যোর এবং গ্রন্থকারের মতবিরুদ্ধ হয় । ইতি প্রথম প্রকরণং। সপ্তম পৃষ্ঠের শেষ অবধি লিখিয়াছেন, যে অঙ্গির বিষ্ণু, হাঁরতের স্মৃতি যদ্যপি সহমরণ প্রকরণে মমু বিরুদ্ধ হইয়াছে, তথাপি অনেকের স্মৃতির সহিত মমু স্মৃতির বিরোধ হইলে মমু স্মৃতি বাধিত হয়, অতএব