বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २२७ ) বট যে ব্যক্তি সংসার মুখে আসক্ত হইয়া আমি ব্ৰহ্মজ্ঞানী ইহা কহে সে কৰ্ম্ম ব্রহ্ম উভয় ভ্রস্ট অতএব ত্যজ্য হয় । সেই রূপ ভাক্ত কৰ্ম্মির প্রতিও বচন দেখিতেছি । মনু “শ্বভ্রান্নং শূদ্র সম্পর্ক শূদ্রেণ চ সহালনং। শূদ্রাদ্বিদ্যাগমঃ কশ্চিঙ্গলস্তমপি পাতয়েৎ"। অর্থাৎ শূত্রের অন্ন গ্রহণ শূত্রের সহিত সম্পক শূদ্রাসনে বসা এবং শূদ্র হইতে কোন বিদ্যা শিক্ষা করা ইহাতে জ্বলন্ত ব্রাহ্মণও পতিত হয়েন ॥ “উদিতে জগতীনাথে য: কুৰ্য্যাদস্তধাবনং। সপাপিষ্ঠঃ কথং ক্রতে পূজয়ামি জনাৰ্দ্দনং”। অর্থাৎ সূর্য্যোদরের পর যে ব্যক্তি দস্তুধাবন করে সে পাপিষ্ঠ কি প্রকারে কছে যে আমি বিষ্ণু পূজা করি। অত্ৰি ॥ "আসনে পাদমারোপ্য যোভূঙক্তে দ্রাহ্মণং কচিৎ i মুখেন চান্নমশ্বাতি তুল্যং গোমাংসভক্ষণে ॥ অর্থাৎ আসনের উপরে প৷ রাখিয় যে ব্রাহ্মণ ভোজন করে এবং হস্ত বিনা গবাদির ন্যায় কেবল মুখের দ্বারা ভোজন করে সে ভোজন গোমাংসাহার তুল্য হয় । “উদ্ধত্য বামহস্তেন যত্তোয়ং পিবতি দ্বিজঃ স্বরাপানেন তুল্যং স্যান্মমুরাহ প্রজাপতিঃ” । অর্থাৎ বাম হস্ত করণক পাত্ৰ উঠাইয়। জলপান করিলে সুরাপান তুল্য হয় ইহা মহু কহিয়াছেন। অতএব জ্ঞান সাধনে কোন অংশে ক্রটি হইলে সে সাধক ত্যজ্য হয় এমৎ যে জ্ঞান করে অথচ কৰ্ম্মামুষ্ঠানে সহস্ৰ সহস্র অংশে স্বধৰ্ম্মচু্যত হইয়াও আপনাকে পবিত্র ও অন্যকে ত্যজ্য জানে সে স্বধৰ্ম্মচু্যত ও স্বদোষ দর্শনে অন্ধকে কি কহিতে পারা যায়। যে ব্যক্তি স্বয়ং এবং পিতা ও পিতামহ তিন পুরুষ ক্রমশঃ স্নেচ্ছের দাসত্ব করে সে . যদি দ্বিতীয় ব্যক্তি যে নিজে মেন্থের চাকরি করিয়াছে তাহাকে স্বধৰ্ম্মচুত ও ত্যজ্য কহে তবে তাহাকে কি কহি । যদি এক ব্যক্তি মৰনের কৃত মিসি প্রায় মিত্য দন্তে ঘর্ষণ করে ও যবনের চোয়ান গোলাব ও আতর এসকল জলীয় দ্রব্য সর্বদা আহারাদি কালে ও অন্য সময়ে শরীরে অক্ষণ করে কিন্তু অন্যকে কহে যে তুমি যবন স্পর্শ করিয়া থাক অতএব তুমি স্বধৰ্ম্মচু্যত ত্যজ্য হও এরূপ বক্তাকে কি কহাযায়। ও এক ব্যক্তি নিজে ঘবন ও লেচ্ছের নিকটে যাবনিক বিদ্যার অভ্যাস করে ও মনু মহাভারতদির বচনকে সমাচার চঞ্জিকা ও সমাচার দর্পণ যাহ। সে ব্যক্তির জ্ঞাতসারে অনেক ক্সেচ্ছে লইয়া থাকে তাহাতে ছাপ করায় কিন্তু অন্যকে