পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २१७ } ৬১ পৃষ্ঠের শেষ পংক্তি অষধি লিখেন যে প্রথমত বেদান্তে ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসার অধিকারির লক্ষণ কহিয়াছেন,ঐহিক ও পারত্রিক ফল ভোগ বৈরাগ্য, মারকি নিত্যু বস্তু কি অনিত্য বস্তু ইহার বিবেচনা, ও শমদমাদি সাধন আর মুক্তিতে ইচ্ছ। এই সকল ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসার অধিকারির বিশেষণ হয় । উত্তর –ব্রহ্ম জিজ্ঞাসার প্রতি সাধন চতুষ্টয়াদিকে বেদান্তে ও গীতাদি মোক্ষ শাস্ত্রে কারণ লিখিয়াছেন কিন্তু ইহ জন্মে এ সকল বিশেষণ উত্তম অধিকারির বিষয়ে হয় অর্থাৎ এরূপ বিশেষণাক্রান্ত হইলে ইহ জন্মেই ব্ৰহ্ম জানিবার ইচ্ছা মনুষের জন্মে কিন্তু পূৰ্ব জন্ম কৃত স্বকতের দ্বারা ঐহিক সাধন চতুষ্টয় ব্যতিরেকেও মনুষ্যের ব্রহ্ম জানিবার ইচ্ছা হইয়া থাকে, বেদান্তের ৩ অধ্যায় ৪ পাদ ৫১ সূত্র ( ঐহিকমপ্যপ্রস্তুতপ্রতিবন্ধে তদ্বশর্মাৎ ) যদি প্রতিবন্ধক না থাকে তবে অনুষ্টিত সাধনের দ্বারা ইহ জন্মে তথবা জন্মান্তরে ব্রহ্মজ্ঞান প্রাপ্তি হয় যেহেতু বেদে দেখিতেছি ( গৰ্ব্বস্তৃএব বামদেবঃ প্রতিপেদে ব্রহ্ম ভাবং ) গৰ্ব্বস্থ যে বামদেব তিনি ব্রহ্ম ভাব প্রাপ্ত হইয়াছেন অর্থাৎ তাহার ঐহিক কোনো সাধন ছিল নাই সুতরাং পূর্ব জন্মের সাধনের দ্বারই জ্ঞান প্রাপ্ত হইয়াছেন। ভগবদ্গীত (পূৰ্ব্বাভ্যাসেন তেনৈব হ্ৰিযতে হবশোপি স: ) সেই পূৰ্ব্ব জন্মের জ্ঞানভ্যাসের দ্বারা ব্যক্তি অবশ হইয়া জ্ঞান সাধনে যত্ন করে । শাস্ত্রে সাধন চতুষ্টয়কে ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসার কারণ কহিয়াছেন, অতএব যখন কোন ব্যক্তিতে ব্ৰহ্ম জানিবার ইচ্ছ উপলব্ধি হয় তখন অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবেক যে এরূপ ইচ্ছার কারণ যে সাধন চতুষ্টয় তাহা ইহ জন্মে অথবা পূৰ্ব্ব জন্মে এ ব্যক্তির হইয়াছে নতুবা কারণ না থাকিলে কি রূপে কার্যের সম্ভাবনা হয়। ভগবদগীতাতেও ইহাকে পুনঃ পুনঃ দৃঢ় করিয়া কহিয়াছেন (চতুৰ্ব্বিধা ভজন্তে মাং জনা মুকুতিনো ন । আৰ্ত্তোজিজ্ঞাস্বরর্থার্থী জ্ঞানী চ ভরতম্ভ) স্বামির ব্যাখ্যা, পূর্ব জন্মের সুরুতের দ্বারা চারি প্রকার ব্যক্তিরা আমাকে ভজন করেন প্রথম আৰ্ত্ত, দ্বিতীয় জিজ্ঞাস্থ, তৃতীয় অর্থার্থী, চতুর্থ জ্ঞানী ॥ যেমন ব্রহ্ম জিজ্ঞাসার অধিকারের কারণ সাধন চতুষ্টয় লিখিয়াছেন সেই রূপ শাক্ত শৈব বৈষ্ণব সৌর গাণপত্য ইত্যাদি তাৰৎ উপাসনাতেই অধিকারের কারণ বাহুল্য রূপে লিখেন, তন্ত্রসার