( 8७8 ) দাষ হয় তবে উভয় মতেই সমান দোষ স্পশিবেক । বস্তু সকল পৃথক পৃথক কালে উৎপন্ন হইলে ইচ্ছার নিত্যত্বে দোষ পড়েন যেহেতু পরমেশ্বর, কালাতীত বস্তু সকল কালিক যে কালে যাহার উৎপত্তি র্তাহার নিত্যেচ্ছায় হয় সেই কালে সেই বস্তু উৎপন্ন হইয়া থাকে ইহাতে র্তাহার ইচ্ছার নিত্যতায় কোনো ব্যাঘাত জন্মেনা । ক্রিয় ও গুণের সহিত কৰ্ত্তার সম্বন্ধকে সমবায় কহেন সেই সম্বন্ধে জগৎ কর্তৃত্ব জগৎ কৰ্ত্ত। যে ঈশ্বর তাহাতে আছে ইহাও সকল মত সিদ্ধ কর্তৃত্ব না থাকিলে কৰ্ত্ত। শব্দ প্রয়োগ হয় না। আর দিককাল আঁকাশের অঁসম্বলিত কি ঈশ্বর কি অন্য কোনো পদার্থকে মনেও ভাবা যায় না অতএব দিককাল আকাশের অভাব স্বীকার করিলে • কোনো বস্তুর প্রমাণ হইতে পারে না । ঈশ্বরকে খ্রিস্টানের ও নৈয়ায়িকেরা উভয়েই নিত্য কহেন অর্থাৎ যাবৎ কাল ব্যাপিয়া আছেন অতএব সেই নিত্যকাল না থাকিলে ঈশ্বর নিত্য হয়েন না অথবা নিত্য শব্দের অর্থ এই যে প্রথম ও অস্ত নাই এ অর্থ যেমন ঈশ্বৱে সন্তবে সেই রূপ কালেও সস্তবে ও ঈশ্বরের নিত্যত্ব জ্ঞান কালের জ্ঞানের সাপেক্ষ হয় । তার প্রত্যক্ষ সিদ্ধ জগতের সমবায়ি কারণ জগতের অতি সুক্ষমতম অবয়ব হয় তাহার নাশ অমস্তব সেই পৃথিব্যাদির স্বক্ষমতম ভাগকে পরমাণু কহেন অবয়ব রহিত পরমেশ্বরকে অথবা আভাবকে পরমাণুর সমবায়ি কারণ কহ যায় না অতএব পরমাণুর জন্য হওয়া অসম্ভব ঐ সকল পরমাণু ঈশ্বরেচ্ছায় পৃথক পৃথক দেশে পৃথক পৃথক কালে পৃথক পৃথক মাকারে একত্র হইয়া নানাস্থষ্টি হইতেছে। যে যে জ্ঞান পূর্বক কৰ্ত্ত সেই সেই কৰ্ত্ত দ্রব্য সংযোগ কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন প্রত্যক্ষ দেখি এবং ঈশ্বরকে জ্ঞান পূর্বক জগৎকৰ্ত্ত সকল মতে মানেন অতএব পরমাণু কাল আকাশ সমভিব্যাহারে তাহারও স্রন্ট ত্ব নিশ্চিত হয় ইহাতে মহাশয় যে দোষ দেন এমতে কৰ্ত্ত ও জীব বড় ঈশ্বর ছোট ঈশ্বর হয়েন তাহা লগ্ন হয় না যেহেতু ঈশ্বরের জগৎ কর্তৃত্ব ও স্বতন্ত্র কর্তৃত্ব জীবের কিঞ্চিৎ কর্তৃত্ব তাহাও ঈশ্বরাধীন হয় কিঞ্চিৎ অংশে সাম্য হইলে ঈশ্বরত্ব হয় না। মিসনরি মহাশয়রা এবং আমরা ঈশ্বরকে ইচ্ছ বিশিষ্ট দয়া বিশিষ্ট কহি জীবকেও দয়ালু ও ইচ্ছ। বিশিষ্ট কহিয়া থাকি
