( برایه 8 ) শিষ্টের বিভুত্ব কোনো মতে সন্তবে না তৃতীয়ত ঐ শাস্ত্রে কহেন ঈশ্বর নাম রূপ বিশিষ্ট কিন্তু প্রপঞ্চ চক্ষুর দ্বারা জীব দেখিতে পায় না এ বিধানে নাম রূপ কি প্রকারে মানিতে পারি। - উত্তর-পুরাণাদি শাস্ত্ৰে সৰ্ব্বথা ঈশ্বরকে বেদাস্তানুসারে অতীক্রিয় আকার রহিত কহেন পুরাণে অধিক 寂 যে মন্দ বুদ্ধি লোক অতীন্দ্রিয় নিরাকার পরমেশ্বরকে অবলম্বন করিতে অসমর্থ হইয়া সম্যক প্রকারে পরমার্থ সাধন বিনা জন্ম ক্ষেপ করিবেক কিম্বা দুষ্কৰ্ম্মে প্রবর্ত,হুইবেক অতএব নিরবলম্বন হইতে ও দুষ্কৰ্ম্ম হইতে নিরত করিবার নিমিত্ত ঈশ্বরকে মনুস্যাদি আকারে ও যে যে চেষ্টা মনুষ্যাদির সর্বদা গ্রহ হয় তদ্বিশিষ্ট করিয়া বর্ণন করিয়াছেন যাহাতে তাহাদের ঈশ্বর উদ্দেশ হয় পরে পরে যত্ন করিলে যথার্থ জ্ঞানের সস্তাবনা থাকে কিন্তু বারংবার ঐ পুরাণাদি সাবধান পূর্বক কহিয়াছেন যে এ সকল রূপাদি বর্ণন কেবল কল্পনা করিয়া মন্দ বুদ্ধির নিমিত্ত লিখিলাম বস্তুত পরমেশ্বর নাম রূপ হীন ও ইন্দ্রিয় গ্রাম বিষয় ভোগ রহিত হয়েন । মাওক ভাষ্যদ্ভুত বচন। নিৰ্ব্বিশেষং পরং ব্রহ্ম সাক্ষাৎ কৰ্ত্ত মনীশ্বরীঃ । যে মন্দাস্তেইমুম্পকস্তে সবিশেষনিরূপণৈঃ । স্মাৰ্বপ্নতযমদগ্নিবচন । চিন্ময়স্যাদ্বিতীয়স্য নিষ্কলস]]শরীরিণঃ উপাসকানাং কাৰ্য্যাৰ্থঃ ব্রহ্মণেরূপকল্পনা । মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্রে। এবংগুণানুসারেণ রূপাণি বিবিধ নিচ । কপিতানি হিতার্থায় ভক্তানামলপমেধসাং । কিন্তু ইহা বিশেষ রূপে জানা কৰ্ত্তব্য যে তন্ত্র শাস্ত্রের অন্ত নাই সেই রূপ মহাপুরাণ ও পুরাণ ও উপপুরাণ এবং রামায়ণাদি গ্রন্থ অতি বিস্তার এ নিমিত্ত শিষ্ট পরম্পর নিয়ম এই যে যে পুরাণ ও তন্ত্রাদির টীকা আছে ও যে যে পুরাণাদির বচন মহাজন প্লুত হয় তাহারি প্রামাণ্য অন্যথা পুরাণের অথবা তন্ত্রের নাম করিয়া বচন কহিলে প্রামাণ্য হয় এম২ নহে অনেক পুরাণ ও তন্ত্রাদি যাহার টাকা নাই ও সংগ্রহকারের স্থত নহে তাহা আধুনিক হইবার সম্ভব আছে কোনো কোনো পুরাণ তত্ৰাদি এক দেশে চলিত আছে অন্য দেশদের তাহাকে কাল্পনিক কহেন বরঞ্চ এক দেশেই কতক লোক কাহাকে মান্য করেন কতক লোক নবীন কৃত জানিয়া "অমান্য করেন । অতএব সটীক কিম্বা
