পাতা:রাজা রামমোহন রায়-প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৭৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ৭৩৮ ) সেই সকৰ্ম্মক ক্রিয়া দুই প্রকার হয়, কর্তৃবাচ্য ও কৰ্ম্মবাচ্য। বাক্যে কৰ্ত্ত মুখ্য রূপে অভিপ্রেত হইলে কর্তৃবাচ্য, যেমন রাম মালিলেন। আর কৰ্ম্ম মুখ, রূপে অভিপ্রেত হইলে কৰ্ম্মবাচ্য হয়, যেমন রাম মারা গেলেন। । 莎 ক্রিয়ার প্রকার। - ; সেই ক্রিয়াত্মক বিশেষণ যেমন অবস্থাকে ও অবস্থার সহিত কালকে । প্রতিপন্ন করে সেই রূপ বাক্যের অভিপ্রেত পদার্থের সহিত সম্বন্ধকেও কুহে, যেমন দেবদত্ত যাইতেছো এস্থলে যাইতেছেন এই যে পদ সে দেবদত্তের অবস্থা যে শাওন তাহাকে এবং তাহার সহিত বর্তমান কালকে এবং দেবদত্তের সহিত ঐ অবস্থার সম্বন্ধকে বুঝাইতেছে। সেই সম্বন্ধ যদি অবধারিত হয় তবে সে ক্রিয়াকে নির্ধারণ কহা যায়, যেমন আমি যাইব । আর যদি সে সম্বন্ধ অন্য সম্বন্ধের অপেক্ষ করে তবে তাহাকে সংযোজন ক্রিয় কহি, যেমন তুমি যদি যাও তবে আমি যাইব । আর যদি সে সম্বন্ধ প্রার্থনীয় হয় তবে সে ক্রিয়াকে নিয়োজন কহি, যেমন তুমি যাও। আর তুমি যাইতে পার এতাদৃশ অর্থে যে অন্য ভাষায় ক্রিয়ার রূপাস্তব হয়, তাছা এই তৃতীয় প্রকারের অন্তর্গত পেনিবে । - বিভক্তিবাচ্যকাল । ক্রিয়ার সহিত নানাবিধ কালিক সম্বন্ধ যাহা আখ্যাতিক পদের দ্বারা প্রতীত হয় তাহাকে বিভক্তিবাচ্য কাল কহি, দার তাহার দোতক সেই আখ্যাত প্রত্যয় হয়, যেমন আমি মারিলাম, আমি মারিয়াছি, আমি মারিব। t ধাতুরূপ । * * * * প্রত্যয়ের দ্বারা ক্রিয়ার পৃথক্২ প্রকারকে ও কালকে ও সংখ্যাকে ব্যক্ত করা যায় তাহাকে ধাতুরূপ কহি, সে ধাতুর গৌড়ীয় ভাষাতে এক প্রকার হয় । - নান্ত ক্রিয়াবাচক শবের পরে ঐ সকল এত্যয়ের প্রয়োগ হইয়া থাকে, যেমন মারণ এই ধাতু কেবল মারণ ক্রিয়াকে কহে, তাহার পরে প্রত্যয়ের দ্বারা নানাবিব পদের রচনা হয়, যেমন ই, ইব, ইলাম, ইহার প্রয়োগ মারণ ধাতুর উত্তর হইরা ওই ধাতুর অনভাগের লোপ হয়, পশ্চাৎ মারি, মারব, মারিলাম, এই পদ সিদ্ধ হয় । ইহার শেষ বিস্তার রূপে পশ্চাৎ লেখা যাইতেছে । কেবল প্রথম পুরুষ দ্বিতীয় পুরুষ তৃতীয় পুরুষ ভেদে প্রত্যয়ের বিপর্যয় হয়, যেমন আমি মারি, তুমি মার, তিনি মারেন, কিন্তু এক বচন বহু বচন ভেদে প্রত্যয়ের বিপৰ্য্যয় হয়-না, যেমন আমি মারি, আমরা মারি; তুমি মার, তোমরা মার, তিনি মারেন, তাহারা মারেন।