পাতা:রাজা রামমোহন রায় প্রণীত গ্রন্থাবলী.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ४७२ ) প্ৰবং সাধারণ জ্ঞানকে অতিক্রম করিয়া উপাস্য দেবতার শরীরকে প্রাপ্ত হয়েন এবং হিরণ্যগৰ্ভ আর প্রকৃতির উপাসনার ফল লিখিলেন যে অণিমাদি ঐশ্বৰ্য্যকে পাইয়া প্রকৃতিতে লীন হয় এদুই ফল কোন পথের দ্বারা পাইবেক তাহা কহিতেছেন। হিরন্মযেন পাত্রেণ সত্যস্যাপিহিতং মুখং ! তত্ত্বং পূষন্নপারণ সত্যধৰ্ম্ময় দৃষ্টয়ে ॥১৫|| কৰ্ম্মী এবং দেবােপাসক মৃত্যুকালে আত্মার প্রাপ্তির নিমিত্তে আপন উপাস্য দেবতা সূৰ্য স্থানে পথ প্রার্থনা কবিতেছেন । হে সূৰ্য্য স্বর্ণময় পাত্রের ন্যায় যে তোমার জ্যোতিময় মণ্ডল সেই মণ্ডলের দ্বারা তোমার অন্তর্যামী যে পরমাত্মা তাহার দ্বারকে রুদ্ধ কবিয রাখিয়াছ তুমি সেই দ্বারকে তোমাব উপাসক যে আমি আমার প্রতি আত্ম জ্ঞান প্রাপ্তির নিমিত্তে খোলো ৷৷ ১৫ ৷ পূষন্নেকর্ষে সম সূৰ্য্য প্রাজাপত বৃহ রশ্মীন সমূহ তেজোযত্তে রূপং কল্যাণতমং তত্তে পশ্যামি। যোসাবসে পুরুমঃ সোহমিম্মি ॥১৬| হে জগতের পোষক সুৰ্য্য হে একাকী গমন কৰ্ত্তা হে সকল প্রাণির সংযম কৰ্ত্তা হে তেজের এবং জলের গ্ৰহণ কৰ্ত্তা, হে প্ৰজাপতির পুত্র আপনি কিরণকে দুই পাশে চালাইয়া পথ দাও আর তোমার তাপ জনক যে তেজ তাহাকে উপসংহার কর যে হেতু কিরণকে উপসংহার করিলে তোমাব প্ৰসাদোতে তোমার অতি শোভন রূপকে দেখি । পুনরায় সেই উপাসক আত্মজ্ঞানের প্রকাশের দ্বাৰা কহিতেছেন যে হে সূৰ্য্য তোমাকে কি ভূত্যের ন্যান্য যাচুঞা করি যে হেতু তোমার মণ্ডলস্থ যে আত্মা সে আমি হই অর্থাৎ তোমার যে অন্তর্যামী সে আমাবো অন্তৰ্যামী হয়েনি। অতএব তোমাকে যাচ এaা করিবার কি প্ৰযোজন আছে ৷ ১৬ ৷ বায়ুবিনিলমনৃতমথেন্দং ভস্মান্তিং শরীরং।। ওঁ ক্ৰতো স্মর কৃতং স্মর ক্ৰ তো স্মর কৃতং স্মর ॥১৭৷ মৃত্যুকাল প্রাপ্ত হইয়াছি যে আমি আমার প্রাণ বায়ু সকলের আধার যে মহাবাস্থ্য তাহাতে লীন হউন এবং আমার সূক্ষম শরীর উপরে গমন কৰুণ আর আমার স্থূল শরীর ভস্ম হউন। সত্য রূপ ব্রহ্মের অধিষ্ঠান অগ্নিতে ও সুৰ্য্যেতে আছে কৰ্ম্মীরা অগ্নি দ্বারা আর দেব জ্ঞানীরা সূৰ্য্য দ্বারা তাহাকে পরম্পরায় উপাসনা করেন। এখানে অধিষ্ঠান আর অধিষ্ঠাতার অভেদ বুদ্ধিতে ওঁকার শব্দের দ্বাবা অগ্নিকে সম্বোধন করিতেছেন: প্রথমত মনকে সম্বোধন করিয়া কহিতেছেন যে, হে মন মৃত্যু