পাতা:রাজা - শিবেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ দৃপ্ত -stol 33 আসেনি। আমার মনে হয় বেশী লোকই বোধ হয় যুদ্ধ চায়নি। তাই তাদের এই অভাবনীয় আচরণ। রাজা । বেশী লোক যুদ্ধ না চাইবার কারণ ?—আত্ম সমর্পণে এ অলৌকিক ঔদার্য্য কিসের মন্ত্রি ? যুক্তিই বা তার কোথায় ? মন্ত্রী । যুক্তি মহারাজ পরাভূত হয় শক্তির কাছে। তবে এমনও হতে পারে, মলয়বাসী, মগধকৃষ্টিকে শ্রেষ্ঠতর দেখে ইচ্ছা ক’রেই হয়ত মগধের অন্তভূক্ত হ’তে অভিলাষী কিম্বা প্রজাশক্তি সমষ্টিগত হ’লেও রাজদণ্ডের ঐক্য এখনও - আনতে পারেনি তাই উপযুক্ত রাজার আশ্রয় লিপ্ত,। রাজ্য ও তোমার বানানো কথা মন্ত্রি । মন্ত্রী। জানি না মহারাজা । রাজা । যাক মন্ত্রী ওসব কথা এখন থাক । তুমি আজই সেনাপতির কাছে দূত পাঠায়ে তাকে এ মৃত্যু উৎসব স্থগ্নিত রাখতে বল। কাল আমি যা হয় এর বিহিত করবো । যাও মন্ত্রী ! আমি আজ বড় ক্লাস্ত, তুমি যাও । [ মন্ত্রীর প্রস্থান । [ রাণীর প্রবেশ ] রাণী । মহারাজ, আজ এত বিমর্ষ কেন দেব। বিশ্রাম কক্ষে চল । রাজ। রাণী ! এ আমার বিমর্ষতা নয়। এ গোধূলির ছায়াহীনতা রজনীর পূর্বরাগ। স্তম্ভিত হয়ে গেলে দেবি ? ভয় কি এই গোধূলিই ফিরে আসবে আবার নুতন নাম নিয়ে উষা হয়ে । তখন কেটে যাবে যামিনীর মৃত্যু বিভীষিকা সুখ তারার সাথে সাথে । রাণী । ওকি বল্‌ছৌ নাথ ! রাজা । তুমি জান না, তুমি জান না, তুমি আজ কি সাজে এসেছে আমার কাছে । তুমি আমার দেবতার দান, তুমি আমার