পাতা:রাজা - শিবেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अंश्च तृच লাজল ३७ বারণ তাই জুটেছে আমাদের রাজার স্বন্ধে। সেখানে ও কি করেছিল জানিস ? ২য় । আদি রসের কবিতা লিখেছিল বুঝি ? ৩য় । আরে না না । কবিতা লেখেনি ; প্রজা ক্ষেপিয়েছিল কি বলে জানিস। পৃথিলীতে বাঁচবার জন্তে সকলের সমান অধিকার। টাকা পয়সা মুখ ঐশ্বৰ্য্য কেবল রাজা আর বড়লোকের ভোগ্য বস্তু নয়। তাতে সাধারণ প্রজাদেরও সম্পূর্ণ সমান ভাগ আছে। কারণ তারাই ত নাকি সব করে। মাটী থেকে সোণ! তোলে, কয়লা তোলে ; পাহাড় কেটে, সমুদ্র ছেকে মুন আনে ; চাষ করে পৃথিবীকে খাওয়ায়, কাপড় বুনে সকলের লজ্জা নিবারণ করে,—এমনি কত কি । আরও বলেছে কি জানিস লজ্জায় মরি আর কি। ভাল ফুল যেমন প্রকৃতির দান, সুন্দরী মেয়েরাও নাকি তাই। রাজারাজডার অধিকার নেই তাদের অন্তঃপুরে বন্দিনী করে রাখবার । ২য় । আরে চুপ , চুপ , চুপ । ঘেন্নায় মরি। ওকে কিনা তোরা বলিস কবি । রাজনীটীর বসন্ত উৎসবের দুটো গান বেঁধে দিলেই কবি হ’ল । কবি ছিল আমাদের কালিদাস, অশ্বঘোষ, বাল্মীকি, কি মহাভারতই লিখে গেছে তারা মাইরি, মনে কর দিকি ভীম কেমন জব্দ করেছিল কীচককে, ওই ত কবি, ওই ত লেখা, তা নয় তুই কবি, তুই কিনা গাইবি উণ্টে । ১ম। ওই এক ধুয়ো ধরে ওঁরা আছেন আমরা তরুণ আমরা নব্য । ব্যস সাত খুন মাপ । ৪র্থ। তোরা মাইরি কিছু বুঝিস না । ১ম । বুঝে কাজ নেই বাবা, তোর বোঝা তোর মাথাতেই থাক । প্রণাম করে পাদকজল খাস ওই কাঞ্চন ঠাকুরের ; আমরা শীঘ্ৰ তোর একটা—