পাতা:রাজা - শিবেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় দৃপ্ত コiーテ" ©ግ তার একটঙ্গন্ধিপ্রি-করেছি- নৰে শোনো একটু । [ একটা পুথি টানিয়— মহামানবের বংশধর অমর। সকলে আমরা ভাই ভাই । কেবল অন্নের লোভে, মিষ্ট জলের আশায় আমরা আজ পৃথক পৃথক স্থানে বাস করি । দিন চলে যায় । নুতন সংস্কার গড়ে ওঠে ভাইকে ভাই বলে চিন্তে পারি না ভুলে যাই । কাছে এলে ভাবি , এ আমার অন্নের ভাগ নিতে এসেছে আমার শক্র হয়ে । ভগবান বুদ্ধ আজ আমাদের পাঠিয়েছেন বিশ্বে শাস্তি স্থাপন করতে। ভাইকে ভাই বলে চিনে নিতে— মে। থাক থাক রাজকুমার। গুগমে গিয়েই তোমার মুখ থেকে ওই কথা শুনব । এখন চল একবার বাহিরে । দেখবে চল সেখানে কি হ’চ্ছে । মেঘে মেঘে ঢেকে ফেলেছে আকাশ, সুমুদ্র যেন ভয়ে কাপছে তার শাসনের প্রতীক্ষায় –চল দেখবে চল, ফুরিয়ে গেলে আপশেষ হ’বে । চল কুমার চল শ । আচ্ছা চল । মে। ওই দেখ মেঘ কাল ঘোর কাল । শ। তাইত। এ যে নববর্ষার সজ্জার ধুম পড়ে গেছে ওই জমা কাশে । মে। দেখ মেঘে মেঘে তৈরী হ’চ্ছে কত ছবি । মনে হ’চ্ছে যেন একটা ধুম পাহাড় উপর থেকে ঢোলে পড়ছে নীচে । কি হাওয়া দেখছোঁ, ওড়ার যদি পাখা থাকত মেঘেদের কানে কানে বলে আসতুম—সুমুদরকে তারা যেন আজ হারিয়ে দেয়। শ। সত্যই মেঘমালা কৌতুকময়ী ওই মেঘ। তার চেয়ে মনে হয় কৌতুকময়ী তুমি । কে তোমার নামকরণ করেছিল জানি না কিন্তু তার নামকরণ সার্থক হ’য়েছে ।