পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিতু। Ꮌ ? Ꮌ নিয়মে পাঠের ব্যয় প্রদান করিতেন। প্রত্যহ স্ব-পাকে এক হইতে দুই তিন জন পৰ্য্যন্ত দণ্ডী ভোজন করাইতেন । কাশীধামে তিনি প্রত্যহ প্রাতে গঙ্গাস্নান অস্তে কোন কোন পৰ্ব্ব দিনে দেবালয়ে গমন করিতেন। নতুবা প্রাতঃ সন্ধ্যাদি সমাপন করিয়া সমাগত পত্রাদি পাঠ এবং তাহার উত্তরের ব্যবস্থার পর, দিবা ১১টা পৰ্য্যন্ত দরিদ্রদিগের প্রার্থনা শুনিতেন। তাহার পরে বিষ্ণুর সহস্ৰ নাম পাঠ, নিত্যপূজা ও জপ করিতেন। অবশেষে ৩টার সময় প্রাণধারণ উপযুক্ত হবিয্যান্ন গ্ৰহণ করিয়া পুরাণ শ্রবণে দিবাবসান হইত। তাহার পর সন্ধ্যা হইতে রাত্রি ১১টা পৰ্য্যন্তে জপ করিয়া শয়ন করিতেন । মহারাণী কাশীধামে গমন পর, সংস্কৃত কাশীখণ্ডের ব্যাখ্যা শুনিয়া কাশীখণ্ডের পদ্ধতি অনুসারে কৰ্ত্তব্যগুলি এত সাবধানে নিৰ্ব্বাহ করিয়াছিলেন, যে, কোন একটী সামান্ত বিষয়েও অঙ্গ ভঙ্গ হইয়াছিল না । তিনি, শাস্ত্র-দৃষ্ট প্রণালীতে কৰ্ম্ম সকল নিৰ্ব্বাহ করিয়া, কৰ্ম্মের দ্বার কৰ্ম্মক্ষয় মাত্র করিতেন। র্তাহার কোনও কৰ্ম্মেরই ফলাভিসন্ধি ছিল ম। কিন্তু কিছুতেই তিনি, আত্মার শান্তি লাভ করিয়াছিলেন কি না, তাহা সৰ্ব্বান্তর্যামী ভগবানই বলিতে পারেন। ফলতঃ অন্তে তাহাকে ब्रिनिई অশান্তি ভোগ করিতে দেখিয়াছে। র্তাহার পুত্রবধু রাণী হেমন্তকুমারীf-তাহাকে মাতার দ্যায় ভক্তি করিতেন, এবং তিনিও বিধবা পুত্র বধূকে কন্যার স্তায় স্নেহ করিতেন । কিন্তু তাহ বলিয়া পিশাচের দল কিছুতেই শান্তি লাভ করিতে পারে না । তাহার অন্নপুষ্ট পিশাচগণ, র্তাহার নিকটে বাস করিয়াও র্তাহাকে চিনিতে পারিত না । তাহার অসাধারণ ক্ষমাশীলতাকে তাহারা আপনার তুরভিসন্ধি সাধনের প্রশস্ত পথ মনে করিত। পিশাচগণ, তাহার রক্ত ংস ভোজনেও পরিতৃপ্ত না হইয়া বালিকা পুত্রবধুর সহিত র্তাহার