পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবত-চরিত। 않) সৰ্ব্ব কনিষ্ঠ পুষ্কর্যক্ষ, তাহিরপুরের ভৌমিক রাজাদিগের রাজধানী রামরাম গ্রামেই সৰ্ব্বদা থাকিতেন। ভাগ্য প্রসন্ন হইলে চারিদিক হইতে নানা বিভব আসিয়া থাকে। এই সময়ে তাহিরপুরের রাজার দুই সহোদর ছিলেন, এবং ছোট রাজা, পুষ্কর্যক্ষকে অত্যন্তু স্নেহ করিতেন। র্তাহার কোনও সন্তান সস্তুতি ছিল না, সেই নিমিত্ত অতি নিৰ্ব্বিপ্ন হৃদয়ে আসার সংসার মায়া ত্যাগ করিয়া বারাণসী ধামে গমন করেন । মাইবার সময় তাহার অৰ্দ্ধ অংশ সম্পত্তি, স্নেহভাজন পুষ্কর্যক্ষকে প্রদান করেন । লস্কর র্থার জায়গীর ও তাহিরপুরের অংশ সহ, মোট ২২ট পরগণার মাহাল লইয়া বর্তমান লস্করপুরের আয়তন । পুঠিয়৷ রাজবংশ, তাহারই স্বত্বাধিকারী । পুষ্কর্যক্ষও নিঃসস্তানে ইহলোক ত্যাগ করেন বলিয়া, নীলাম্বরই সমস্ত সম্পত্তি লাভ করিলেন। পুঠিয়ার বর্তমান ভূম্যাধিকারীগণ, সেই নীলাম্বরের বংশধর। বৎসাচার্যের পাদুকা যুগল, পুঠিয়া রাজধানীতে অদ্যপি দেববৎ পূজিত হইয়। থাকে। এই কাষ্ঠ পাদুকা (খড়ম) প্রায় ১৬ ইঞ্চ লম্বা। ইহা দ্বারা জানা যায়, যে, পূৰ্ব্বকালের মনুষ্য দেহ কিরূপ উন্নত ছিল। নীলাম্বরের পুত্র আনন্দরাম, বঙ্গের সুবাদার ফকিরুদিন কর্তৃক রাজোপাধি লাভ করেন। এই বংশ, রাজোপাধি ও বিস্তৃত সম্পত্তি ভোগ করিলেও, বহু পুরুষ পর্য্যন্ত বৎসাচার্য্যের সদাচার ও যোগ নিষ্ঠা প্রচলিত ছিল ; সেই জন্ত, ইহার পুত্র রতিকান্তকে দেশস্থলোকে পূজনীয় “ঠাকুর” নামে অভিহিত করিয়াছিলেন। পরে বঙ্গের সুবাদার কর্তৃকও ঐ উপাধি অনুমোদিত হয় ; সেই হইতে পুঠিয়ার রাজবংশকে সাধারণে ঠাকুর নামে অভিহিত করিয়া থাকে। * যোগেন্দ্রনারায়ণ, • কুচবিহারের আহেলকার (কালের ম্যাজিষ্ট্রেট) বাৰু যাদবচন্দ্র চক্রবর্তীর সংগৃহীত কুলশাস্ত্র দীপিকার ৫১ જૂઠ્ઠા হইতে ৫ ৫ পৃষ্ঠায় পুঠিয়া রাজকুলের বংশাবলীর