পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। & 4 ф е ভূমি সাহেবের আপন দখলে রাখিয়াছিলেন ; ইহা ভিন্ন “সাটার” প্রভাবে লস্করপুরের অধিকাংশ প্রজা, নীল বপনের দেীরাত্ম্যে ঘোরতর প্ৰপীড়িত হইয়াছিল। লস্করপুর পরগণার অনেকগুলি গ্রাম পদ্মা, বড়াল ও গদাই নদীর উভয় তীরে সন্নিবিষ্ট, সুতরাং নীল উৎপন্নের উপযুক্ত চড়া ভূমিও বিস্তর ; অত্রাবস্থায়, নীলকরদিগের লস্করপুরের লোভ ত্যাগ করা, বড়ই দুঃসাধ্য। যোগেন্দ্র নারায়ণ, কলিকাতায় শিক্ষাগারে গমন করিয়া অবধি প্রজাদিগের আঁৰ্ত্তনাদ শুনিতেন। কলেজ বন্ধের সময় তিনি স্বদেশে আসিলেই, প্রজারা দলে দলে তাহার নিকট আসিয়া নীলকরের দৌরাত্ম্যের বিষয় নানা অভিযোগ করিত। অপ্রাপ্তবয়স্ক বলিয়া, তfহার কোনই ক্ষমতা নাই, অথচ দরিদ্র প্রজার কষ্টে তাহার হৃদয় বিদীর্ণ হইত। তিনি একজন প্রতিভাশালী তেজস্বী মনুষ্য ছিলেন ; সংসারে দুৰ্ব্বলের প্রতি বলবানের অত্যাচার কিম্বা কোন প্রকার প্রতারণাজালে কাহাকেও বিপদাপন্ন দেখিলে, তিনি ক্রোধে ও ঘৃণায় এককালে অস্থির হইতেন। অতএব ইংরেজ অধিকারের বহু পূর্বের তাহার পুরুষানুক্রমিক ভোগের সম্পত্তির দরিদ্র কৃষক প্রজার কষ্টে র্তাহার হৃদয়ে কিরূপ তীব্র যাতনা হইয়াছিল, তাহা সহজেই বুঝা যায়। অথচ তখন তাহার সেই সকল অনাথ কৃষকদিগের সাহায্য করিবার কোন শক্তিই ছিল না। র্তাহার সম্পত্তি нныйнына اخت-س– চতুর্দশ পুরুষের ভোগের ভূমি, যদি, নীল উৎপন্নের যোগ্য হয়, তবে সেই ভূমি নীলকরদিগের “নিজজোত” এবং তাহার অন্য লিখিত দলিল না থাকিলেও, নীল বৃক্ষের মূল, ও নীলের চারাই আদালত গ্রাহ্য অমোঘ দলীল ।

  • প্রজ, আপনার জোতের ভূমিতে নীল আবাদ নিমিত্ত যে, অগ্রিম দাদন গ্রহণ

• করে, তাহার এগ্রিমেন্ট সাটানামে অভিহিত । “সার্টা” পারিভাষিকে কুযুক্তিতে দলবদ্ধ অর্থে ব্যবহৃত হয় । যথা ‘উহার এক সাট্রা ( এক পরামর্শে দলবদ্ধ ) হইয়া এই কুকাৰ্য্য করিল।”