পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. o" মহারাণী শরৎকুন্দরীর জীবন-চরিত।ن "rامام দিগের "নিজজোত” নামে হস্তচু্যত হইয়াছে। অতএব ঐ সকল ভূমি প্রত্যপণ জন্ত তিনি বারম্বার সাহেবদিগের নিকট প্রস্তাব করিতে লাগিলেন, কিন্তু,তাহা হইলে নীলকরের নীল আবাদ উঠিয়া যায় –ৰ্তাহাদের অবাধ বাণিজ্যে বাধা পড়ে। র্তাহার রাজার জাতি, যোগেন্দ্রনারায়ণের মত সামান্ত জমিদারের কথা শুনিবেন কেন ? নীলকরের সাধুত অবলম্বন করিলে, বাঙ্গালার নিরীহ দরিত্র প্রজাকুল প্রাণের মায়া ত্যাগ করিয়া দলবদ্ধ হইত না। নীলকরের পাপ চতুষ্পাদপূর্ণ হইয়াছিল বলিয়াই, শাস্ত প্রজাগণ উগ্ৰমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া, প্রবল বিদ্রোহানল জালিয়াছিল। এই সময়ে সহস্ৰ সহস্র প্রজা, শত শত উদ্যমশীল, যুবক, সেই অনলে আত্মসমর্পণ করিয়াছিল। বঙ্গদেশে এই সময়ে শত শত সতীর সতীত্ব নাশ, সহস্ৰ সহস্র প্রজা কারাগার নিক্ষিপ্ত, সহস্ৰ সহস্ৰ দরিদ্রের কুটার ছারক্ষার হইয়া, শ্মশানে পরিণত হইয়াছিল। কত শত নিৰ্ম্মল চরিত্রের যুবক, সংসারে প্রবেশ করিয়া চিত্তের সমস্ত শাস্তি,–সংসার সুখের নানা প্রকার মোহিনী কল্পনা এবং সমস্ত অাশ ভরসা বিসর্জন দিয়া অকুতোভয়ে প্রাণ সমর্পণ করিয়াছিল, তাহা মনে করিতেও হৃদয়ের শোণিত শুষ্ক হয়। i. কুমার ষোগেন্দ্রনারায়ণও, তাহাদিগের মধ্যে একজন। তিনি এই অত্যাচার দমনে প্রস্তাবিত সাধুতা করিয়াও যখন বিফলমনোরথ হইলেন, তখন, তাহার হৃদয়ে ঘোর অশাস্তি উপস্থিত হইল । পুন: পুনঃ পতনে তাহার আত্মবিস্মৃতি জন্মিল। রাজদ্বারেও ইহার প্রতিকারের উপায় এক প্রকার রুদ্ধ হইয়াছিল। সে সময়ে অনেক মাজিষ্ট্রেটই নীলকরদিগকে প্রশ্রয় দিয়াছিলেন, বিশেষতঃ রাজসাহীর মাজিষ্ট্রেট মিঃ টেলারের বিষয় পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে। যোগেন্দ্রনারায়ণ বারম্বার উদ্যমভঙ্গে ক্ষিপ্তপ্রায় হইলেন। প্রতিজ্ঞা করিলেন, শরীর ও