পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎকুন্দরীর জীবনচরিত। কিম্ব অব্যবসায়ী অথচ অশূদ্র-প্রতিগ্রাহী নিষ্ঠাচারী ব্রাহ্মণকে নিমন্ত্রণ করিয়া যথাসাধ্য দান করিতেন। দেশের মধ্যে নিকটবর্তী কোন স্থানে পণ্ডিতগণ সমাগত হইলে, মহারাণী তাহাদিগকে রাজধানীতে নিমন্ত্রণ করিয়া ভোজন করাইয়।. যথোপযুক্ত টাকা প্রদান করিতেন। যদি কোনও কাবুণে নিয়মিতরূপে মাসিক কিম্ব বার্ষিক দান র্তাহার পুত্রের সম্পত্তিতে বহন করিতে না পারে, বলিয়া এক এক উপলক্ষে পণ্ডিতমণ্ডলী এবং দীন দরিত্রকে প্রচুর টাকা দান করিতেন। কেবল দানের জন্য বংসর বৎসর অন্নপূর্ণ পূজা এবং জগদ্ধাত্রী পূজা বহু ব্যয়ে নিৰ্ব্বাহ করিতেন। এই দুই কার্য্যে প্রকৃতই অন্নপূর্ণার ন্যায় অন্ন দান করিতেন। তিনি শত শত ব্ৰত করিয়াছেন, সহস্ৰ সহস্র প্রকারে দান করিয়াছেন। দানধৰ্ম্মের জন্য তিনি, নানা উপায় উদ্ভাবন করিতেন । কেননা, উপলক্ষ ব্যতীত অনেক সময়ে তাহার কৰ্ম্মচারিগণ দানে প্রতিবন্ধকতা করিত। সেই জন্য এক একটা ব্ৰত কিম্বা পূজা আরম্ভ করিয়৷ তদুপলক্ষে ইচ্ছামত দানাদি করিতেন। সামান্ত সামান্ত ব্ৰতাদিতে র্তাহার দানের প্রণালী দেখিয়া সকলে চমৎকৃত হইত। উদাহরণ স্থলে কয়েকটা বিষয় মাত্র উল্লেখ করা যাইতেছে। অনন্তচতুর্দশী ব্রত প্রতিষ্ঠার সময় এক প্রস্থ স্বর্ণের ভোজনপাত্র এবং স্বর্ণের বহুগুণ। প্রভৃতি পাকপাত্র এবং এত পরিমাণ আভরণ দান করিয়াছিলেন যে, তাহার সমষ্টি মূল্য প্রায় পনর হাজার টাকা হইবে। আর একটী পুষ্করিণী প্রতিষ্ঠায় প্রায় ছয় সাত হাজার টাকার অলঙ্কার আদি দান করিয়াছিলেন। অনেকবার শীতকালে, পুঠিয়া রাজধানীতে, রামপুর বোয়ালিয়া নগরে এবং বারাণসীক্ষেত্রে ঢোল দিয়া দরিদ্রদিগকে ংগ্ৰহ করিয়া নিৰ্ব্বিশেষে শীতবস্ত্র ও কম্বলাদি দান করিতেন । একবার কাশীধামে, সমস্ত তীর্থবাসী পাণ্ডাগণকে প্রায় দশ হাজার টাকার শাল