পাতা:রামকৃষ্ণের কথা ও গল্প - স্বামী প্রেমঘনানন্দ (১৯৩৬).pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জটিল

 জটিল তখন দই নিয়ে আসছে। তাকে আসতে দেখে একটি ছেলে গুরুমশায়কে ডেকে বললে, “গুরুমশায়, ঐ যে জটিল এসেছে। আর দেখুন, মস্ত বড় এক ভাঁড় দই এনেছে!”

 জটিলের হাতে ছোট একটি ভাঁড় দেখে, গুরুমশায় একেবারে রেগে আগুন। বললেন,—“শ্রাদ্ধের সব দই না তুই দিবি? আর দই কই?”

 “আজ্ঞে, আমি ছোট কিনা, বেশি আনতে পারব না, মধুসূদনদাদা তাই এ ছোট ভাঁড়টিই দিয়েছেন। তিনি বললেন, এতেই সকলের হবে।”

 জটিলের কথা শুনে গুরুমশায় আরো গেলেন রেগে। জোর করে দইএর ভাঁড়টি জটিলের হাত থেকে টেনে নিয়ে একটি ছেলের হাতে দিয়ে বললেন,—“যা, এ দই আর একটা পাত্রে ঢেলে রেখে, ভাঁড়টা হতভাগাকে ফিরিয়ে দে।” তারপর,—“আমার মার শ্রাদ্ধ তুই পণ্ড করলি লক্ষ্মীছাড়া ছেলে, আজ তোরই একদিন না আমারই একদিন,”—এই বলে জটিলকে মারতে আরম্ভ করলেন। জটিল সামলাতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেল।

 এদিকে আর একটি ঘটনা হল। যে ছেলেটি দই রাখতে গিয়েছিল, সে ফিরে এসে বললে,—“গুরুমশায়, অবাক কাণ্ড, দই যত ঢালছি, ফুরোচ্ছে না।”

১৫