পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ শ্ৰীচরণ ভরসা। শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণদেবকথিত আত্মা । حساحمسه وهم يمتهمة مدحمسه ব্ৰাহ্মণাদি সকলের চরণে প্রণাম । প্রভুর কৃপায় এক বৎসর কাল তাহার গুণানুকীৰ্ত্তন করিয়া আসিতেছি । এই সময়ে যদিও নানাবিধ বিঘ্ন বাধা উপস্থিত হইয়াছিল, কিন্তু তদ্বারা আমাদের কার্য্যের বিশেষ অপকার করিতে পারে নাই । দ্বিতীয় বৎসরের প্রারম্ভে পূৰ্ব্ব বৎসরের ন্যায় নানাবিধ বিভীষিক করালবদন ব্যাদান করিয়া আমাদের দিকে ধাবিত হইবার উপক্রম করিতেছে, এই বিভীষিক সকল এতদুর বাড়িয়া উঠিয়াছে যে, তাহ ভাবিয়া দেখিলে অতি ভীষণ পরিণাম মানসপটে প্রতিফলিত হইয়া আমাদিগের হৃদয় আকুঞ্চিত করিয়া ফেলে। বলিতে পারি না, প্রভুর মনে কি আছে । প্রথম বিভীষিকা স্থানাভাব। গত বৎসর যখন বক্তৃতার স্বচনা হয়, সেই সময় হইতে স্থান লইয়া গোলযোগ চলিয়া আসিতেছে, এই নিমিত্ত এক স্থানে বক্তৃতা হইবে বলিয়া বিজ্ঞাপন দিয়া স্থানান্তরে যাইতে বাধ্য হইয়া থাকি। সকলেই আপনাপন উদ্দেশু্যাকুসারে পরিচালিত হইতে বাধ্য হইয়া থাকেন। সেই উদ্দেশ্য বজায় রাখিয়া লোকে অপরের সহিত যোগ দিতে পারেন । সুতরাং, এরূপ যোগের কার্য্য দীর্ঘস্থায়ী হয় না। এই নিমিত্তই স্থান লইয়া আমাদিগকে সৰ্ব্বদ ব্যতিব্যস্ত হইতে হইতেছে। রামকৃষ্ণদেব কোথায় যে স্থায়ী করিবেন, তাহা তিনিই জানেন ।