পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ سواسواد ] সেরূপ প্রামাণাভাব। শুনিতে অতি সুমধুর এবং সহজে বুঝাও যায় বটে যে, যেমন জীর্ণ বস্ত্র ত্যাগ করিয়া নব বস্ত্র পরিধাণ করা যায়, অথবা এক গৃহ ত্যাগ করিয়া অন্য গৃহে প্রবেশ করা যায়, তেমনি এক দেহ হইতে আত্মা দেহান্তরে গমন করিয়া থাকে, কিন্তু যদ্যপি কেহ এইরূপ প্রশ্ন করেন যে, সাক্ষাৎ সম্বন্ধে জীবগণ যেরূপে জন্মিয় থাকে, তাহার কোন অবস্থাতে আত্মা প্রবেশ করিয়া থাকে ? জীবের জন্মবৃত্তান্ত আলোচনা করিলে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, নর হইতে চৈতন্যবিশিষ্ট কীটপ্রমাণ পদার্থবিশেষ নারীর ডিম্ববত পদার্থের সহিত একীকরণ না হইলে জীব জন্মাইতে পারে না। অবতারদিগের কথা দৃষ্টাস্তের যোগ্য নহে। এইরূপ সংযোগ হইলে উহা দশমাসে আকারবিশেষ ধারণ করিয়া সময়ে পুথিবীর ক্রোড়ে নিপতিত হয় এবং কালসহকারে বৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে। জীবের উৎপত্তির কাল হইতে মৃত্যু পৰ্য্যস্ত এমন কোন সময় দেখা যায় না, যে সময়ে তাহার দেহে অপরের আত্মা প্রবেশ করে । একথা প্রকাশ আছে যে, যখন অপর আত্মা দেহ বিশেষের আশ্রয় লয়, তথায় ভাবান্তরের লক্ষণ প্রকাশ পাইয়া থাকে। প্রেতাত্মা কর্তৃক বিকারগ্রস্ত হওয়া চিরপ্রসিদ্ধ কথা । অথবা দেবতাদিগের আত্মা যখন কাহাকে আশ্রয় করেন, তখন তাহার ভাবান্তর হইয়া থাকে। এই নিমিত্ত কথা হইয়া থাকে যে, জীব মরিয়া যাইলে তাহার আত্মা কিরূপে অপর দেহে প্রবেশ করিয়া থাকে ? এই প্রশ্নের মীমাংসা করিতে কেহ অদ্যাপি চেষ্টা করিয়াছেন কি না, আমি জানি না । কিন্তু আত্মার পুনর্জন্ম স্বীকার করিতে যাইলে তাহা কিরূপে সম্পন্ন হয়, ইহা না বুঝিতে পারিলে পরজন্ম বা আত্মা, হয় অন্ধবিশ্বাসে, না হয় জোর করিয়া তাহা বুঝিতে হইবে। সুতরাং রামপ্রসাদ যাহা কহিয়। গিয়াছেন যে,—শূন্যেতে পাপ পুণ্য গণ্য মান্য ক’রে সব