পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২১৬ ] পরিগণিত হইতেন । যৌগিক বর্ণের আধিক্যত হওয়ায় স্থানবিশেষে র্তাহারা বাসস্থান নির্দেশ করেন এবং তঁাহাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ায় ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন জাতি বলিয়া এক্ষণে পরিচিত হইতেছেন । যেমন হিন্দুদিগের মতে পাঞ্চভৌতিক পদার্থ হইতে সমুদয় ব্রহ্মাণ্ড স্বজিত হইয়া থাকে বলিয়া উল্লিখিত হয়। পঞ্চভূত ব্যতীত ষষ্ঠ কিম্ব। সপ্তম ভূতের আভাস নাই। এই পঞ্চভূত হইতে মহর্ষি, দেবর্ষি, রাজর্ষি প্রভৃতি সাক্ষাৎ ব্রহ্মজ্যোতিঃবিশিষ্ট ব্যক্তিগণ জন্মিয়াছেন । এই পঞ্চভূত হইতে যুধিষ্টির প্রভৃতি ক্ষত্ৰিয়দিগের উৎপত্তি হইয়াছে। এই পঞ্চভূত হইতে শ্ৰমন্তের জন্ম হয়। এই পঞ্চভুত হইতে গোপালক প্রভৃতি শূদ্রদিগের স্বম্ভ হয় এবং এই পঞ্চভূতে বৰ্ত্তমান কালের যবন, স্লেচ্ছ, চীন, মগ, কাফ্রী প্রভূতি জাতিদিগেরও উৎপত্তি হইয়াছে। এক্ষণে, কিরূপে বর্ণ বিচার করা যায় ? হিন্দু শাস্ত্র প্রমাণ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্রাদি বর্ণদিগকে বৰ্ত্তমান কালে স্থির করিতে যাইলে হতাশ হইতে হইবে। কারণ, পূৰ্ব্বকালে এই বর্ণবিভাগ গুণানুসারে সাধিত হইয়াছিল, এক্ষণে সেই প্রণালীমতে বর্ণবিভাগ করা যায় না। কারণ, কালভেদে গুণের প্রভেদ হইয়া গিয়াছে । সুতরাং বৰ্ত্তমানকালে বর্ণবিভাগ গুণগত না হইয়াকুলগত হইয়া পড়িয়াছে। অতএব শাস্ত্রোক্ত বর্ণ অনুসন্ধান করিতে যাইলে প্রচলিত বর্ণে তাহার আকাজক্ষা মিটিবে না। এই নিমিত্তই সময়ে সময়ে একাকার হইবার রোল শুনিতে পাওয়া যায়। কারণ কাৰ্য্যক্ষেত্রে বর্ণ বিচার নাই । সকল বর্ণের সকল প্রকার কার্য্যে অধিকার জন্মিয়াছে, সেস্থলে বর্ণবিচার লোপ হইয়াছে বলিয়া অবশ্যই স্বীকার করিতে হইবে । শাস্ত্রের বর্ণ-চতুষ্টয়ের তাৎপৰ্য্য বাহির করিয়া দেখিলে বুঝা যায় যে, ভগবৎতত্ত্ব লাভ করিবার শ্রেণীকে ব্রাহ্মণ, রাজ্যাদি রক্ষা ও শাসনাদি কাৰ্য্য করিবার শ্রেণীকে