পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ২৫৬ ] জন্য ইহার মধুমাখা ভাব ধারণা করিতে অসমর্থ হইয়া পড়ি। কিন্তু যিনি আশ্ৰমধৰ্ম্ম প্রতিপালন করেন, তিনি শ্রেষ্ঠ, তিনি সৰ্ব্বজনপূজিত, ধৰ্ম্মই র্তাহাকে রক্ষা করিয়া থাকেন। আমরা চিরকাল শুনিয়া আসিতেছি যে, সংসারের বলই ধৰ্ম্ম । অন্য বল ধৰ্ম্মবলের নিকট দণ্ডায়মান হইতে পারে না। বর্ণাশ্রম ধৰ্ম্মের যে কোন ভাবে যে কেহ অবস্থিতি করেন, যে কেহ প্রাণপণে তাহা প্রতিপালন করেন, ভাবময় শ্ৰীহরি তাহাকে রক্ষা করিয়া পরিণামে পরমধৰ্ম্ম প্রদান করিয়া থাকেন। দুর্জয় দুৰ্য্যোধন সভাস্থলে যখন দ্রৌপদীকে বিবস্ত্র করিতে চেষ্টা করেন, তখন কোন বলে মহারাজার রাজবল বিচূর্ণ হইয়াছিল ? দ্রৌপদীর লজ্জা নিবারণ করিতে কে আসিয়াছিল ? স্ত্রীলোকরা একট। স্বামীর বলে না করিয়া থাকেন কি ? কিন্তু দ্রৌপদীর পঞ্চস্বামী সত্ত্বেও সভাস্থলে বিবস্ত্র হওন কালে কাহারও দ্বারা সতীত্বধৰ্ম্ম রক্ষণ হইবার সুবিধা হয় নাই। আশ্রমধৰ্ম্মের ভিতরে সতীত্ব একটা ধৰ্ম্ম বিশেষ। দ্রৌপদীর এই ধৰ্ম্মজ্ঞান ছিল । না থাকিলে তাহার বিষম লজ্জার সময় লজ্জানিবারণ মধুস্থদন বস্ত্ররূপে পরিণত হইয়াছিলেন কেন ? সতীত্ব ধৰ্ম্ম আশ্রমধুবিশেষ। দ্রৌপদী এই আশ্ৰমধৰ্ম্ম হৃদয়ে সযত্নে সংস্থাপন করিয়াছিলেন, তজ্জন্য তিনি মহাবিপদ হইতে ধৰ্ম্ম কর্তৃক সংরক্ষিত হইয়াfছলেন। ধৰ্ম্ম চিরকালই এক। দ্রৌপদী সতীত্ব ধৰ্ম্ম রক্ষা করিয়! আপনি যেমন বিপদ হইতে পরিত্রাণ পাইয়াছিলেন, এখনও যিনি এই আশ্ৰমধৰ্ম্ম প্রতিপালন করেন, তিনিও সময়ে সময়ে ধর্মের সাক্ষাৎকার লাভ করিয়া থাকেন । এই সহরের অন্তঃপাতী কোন পল্লীতে জনৈক দীন ব্রাহ্মণের বাস ছিল। এই ব্রাহ্মণের একটী ষোড়শ বর্ষের পরম সুন্দরী বিধবা কন্যা ছিল । ব্রাহ্মণ ভিক্ষা করিয়া আনিলে কন্যাটী পাক শাক করিয়া দিতেন । ব্রাহ্মণের সেবা হইলে তনয় প্রসাদ পাইতেন !