পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૨.૪૦ ] তাহাকে বলিতে বলিলাম যে, কথায় কিছুই হইবে না, তুমি সাপ দেখাইবে কি না ? সে অতি ভীষণ স্বরে কহিল, সাপ দেখাইতেছি, কিন্তু সাবধান ! আমি কিন্তু তোর বক্ষে দংশন করিব । তোকে আমি নিশ্চয় সংহার করিব । এই কথা বলিতে বলিতে ঘটের নিকটস্থ একখানি গামছার ভিতর হইতে একটা ফণা বাহির হইল। ফণা দেখিয়া সকলে মা ! মা ! বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিল। আমি সর্পটকে কৃত্রিম মনে করিয়া একজনকে বলিলাম যে, তুমি যাইয় সর্পট বাহির করিয়া অান, উহা সোলার সাপ। এই কথা বলিবামাত্র সে যেমন গুহের ভিতরে প্রবেশ করিল, অমনি সেই ভাবগ্ৰস্থ বালক এবং মনসার দাসী কোন দিকে ছুটিয়া পলাইল, আর দেখিতে পাওয়া গেল না। স্থচনাকৰ্ত্তা বাটীর ভিতর লুকাইল । সহরের ভিতর বলিয়া এই বুজ রুকি দীর্ঘকাল চলিল না। কিন্তু পল্লিগ্রামে এইরূপ অনেক দেব দেবীর আবির্ভাব হয় । লোকের মনাকর্ষণ করিবার নিমিত্ত অনেকেই অনেক প্রকার ছলনা করিয়া থাকেন। কেহ সিদ্ধাই দেখান, কেহ ছেলে হইবার ঔষধ দেন, কেহ উৎকট ব্যাধির শান্তিকৰ্ত্ত বলিয়া প্রচারিত হইতে ইচ্ছা করেন, কেহ ফঁাসিকাঠ হইতে কাহারও প্রাণরক্ষা করিয়া লোকের নিকট দেবদেবীর ভাবে প্রচারিত হন । কেহ দেবদেবীর মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত করিয়া আত্মসিদ্ধ ভাবের পরিচয় দিয়া থাকেন। ধন্মরাজ্যের এমনি অবস্থা ঘটিয়াছে যে, যে স্থানে অঘটন সংঘটনা হয়, যে স্থানে অন্ধের চক্ষু ফোটে, যে স্থানে বধির শুনিতে পায়, দরিদ্র ধনী হয়, সেই স্থানেই লোকের প্রাণ আপনি ধাবিত হয়। সুতরাং, এইরূপ স্থলে লোকের মনে সংস্কারাবরণ করিতে হইলে অলৌকিক কার্য্যের সংঘটন করা যেন চিরপ্রথা হইয়া গিয়াছে। এই প্রকার কাৰ্য্যের স্থলে