পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૦૦૧ ] কাৰ্য্য করিতেছিলে, তাই সহজে আমায় লাভ করিয়াছ । ব্রাহ্মণ আশ্চর্য্য হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, ভগবতী কিজান্ত এ অধমের বাটীতে নিত্যনিত্য আগমন করেন ? একথ। এতদিন তোমার মুখে শুনি নাই কেন ? নায়িক কহিলেন, তোমার ভ্রাতা ভগবতীর প্রিয় ভক্ত। অমন বিমল শুদ্ধসত্ত্ব ভাবের ভক্ত দ্বিতীয় আর নাই। ব্রাহ্মণ অত্যাশ্চর্য্য হইয়া কহিলেন, বটে ? শুদ্ধ ভক্ত কিরূপে মা ? আমন কদাচারী—দেবী কহিলেন, তুমি যদ্যপি পুনরায় গ্লানিস্থচক কথা বল, তাহা হইলে আমি তোমায় অভিশাপ দিয়া এখনি চলিয়। যাইব । শুদ্ধসত্ত্ব ভাব কাহাকে কহে, বিপ্রবর! অগ্ৰে বুঝিয়া লও। শুদ্ধসত্ত্বে বাহিক আড়ম্বর নাই। যাহাতে অন্তরের ভাব কোনরূপে কেহ না বুঝিতে পারে, ইহাই বিশেষ লক্ষণ জানিবে । তোমার ভ্রাতাকে দেখিলে ভক্ত বলিয়া কি কেহ মনে করিতে পারে ? ব্রাহ্মণ বলিয়া উঠিলেন, কখন না, কখন না। দেবী কহিতে লাগিলেন, তোমার ভ্রাতার কথা শ্রবণ কর। ঐ ভক্তকেশরী সাধকচুড়ামনি প্রত্যহ রজনীতে সকলে নিদ্রিত হইলে, এই পল্লির প্রান্তভাগে যে শিবকালীর মূৰ্ত্তি আছে, তথায় গমনপূৰ্ব্বক তাহাকে প্রত্যক্ষ করিয়া পূজা করিয়৷ থাকেন। তোমার ভ্রাতাকে ভোজন করাইবার নিমিত্ত স্বয়ং ভগবতীই ভার লইয়াছেন । বিপ্র ! তোমার ভ্রাতার বৃত্তান্ত শ্রবণ করিলে ? বাহিক লক্ষণের দ্বারা উনি ভক্ত বলিয়া পরিচিত মহেন । কারণ, লোকের নিকট পরিচিত হইলে ভগবানের নিকটবৰ্ত্তী হওয়া যায় না । বাহিরেই তাহার তৃপ্তিসাধন হইয়া যায়। তোমরা দুই ভাই তাহার দৃষ্টান্ত । তুমি লোকমান্ত হইয়াছ, লোকে তোমায় শ্রদ্ধা ভক্তি করিতেছে। তাহাতেই তোমার আনন্দ উথলিয়। উঠে । আমাকে পাইয়া তোমার কিঞ্চিৎ সিদ্ধাই জন্মিয়াছে। লোকের