পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩১৪ ] হইয়া নয়নজল ফেলিয়াছ, আর সেই ভক্তপ্রবর আপন সন্তানরত্ন, একটা নহে, এককালে দুইটকে মৃত্যুশয্যায় শায়িত দেখিয়া আক্ষেপ করে নাই । যখন তুমি দৈববলের কথা বলিয়াছিলে, সে তোমায় অনুরোধ · করিলে তৎক্ষণাৎ তুমি তাহার সন্তান দুইটী বাচাইয়া দিবে বলিয়া মনে করিয়াছিলে । নারদ এই স্থানে তোমার এবং তাহার ভাব মিলাইয়: দেখ। তুমি আমার স্বষ্টিতে বাহু প্রসারণ করিতে অভিলাষ করিয়াছিলে, কিন্তু সে কামিনীকাঞ্চনাবদ্ধ হইয়া মহামায়ার কর গ্রস্ত থাকিয় সংসাররূপ বিশ মণ প্রস্তরখণ্ড মস্তকে ধারণ করিয়াও আমায় বিস্মৃত হয় নাই। সে আমায় ভুলিয়। তোমার দ্বার। সস্তান বাচাইতে প্রয়াস পায় নাই। প্রয়াস পাওয়া দূরের কথা, তোমার প্রস্তাবে উপেক্ষা করিয় ঠাকুরের ইচ্ছা কহিয়াছে । ইহার দ্বারাও কি তুমি ইতর বিশেষ বুঝিতে পারিতেছ না ? যে আমার প্রতি মন প্রাণ অৰ্পণ করিয়া দেয়, তাহারই আমি, তাহার জন্যই আমি সৰ্ব্বদা ব্যতিব্যস্ত হইয়া থাকি । যোগীরা আমার সদৃশ হইতে চায়, আমায় চাহে না, সুতরাং আমার স্বতন্ত্র ভাবে প্রাপ্ত হইতে পারে না। যোগীরা সিদ্ধাই প্রাপ্তির নিমিত্ত আমার উপাসনা করে, আমায় চাহে না, যোগীরা আমার কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতে অগ্রপশ্চাৎ চিন্তা করে না, সুতরাং তাহারা আত্মাভিমানে ঘুরিয়া বেড়ায় । আমার সহিত দ্বৈত সম্বন্ধ স্থাপন হইতে পারে ন!! কিন্তু যে গৃহী আমায় সৰ্ব্বস্ব জানিয়া সৰ্ব্বস্ব সমৰ্পন করিতে পারে, আমি তাহার। সেই ভাগ্যবান আমার লীলারূপ দর্শন, স্পর্শন, প্রসাদ ভক্ষণ করিতে পায় । এই নিমিত্ত তাহীরাই আমার শ্রেষ্ঠ ভক্ত । তৃতীয় প্রণালীকে তমো-মুগ্ধ চৈতন্য কহে। প্রভু বলিতেন, যেমন সত্ত্ব মুখ চৈতন্তে দীনতার ভাব দেখা যায়, তমো-মুখে তেমন নছে । যেমন কোন ধনীর নিকটে কেহ উপাসনা করিয়া কিঞ্চিং ভিক্ষণস্বরূপ