পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ లిరిరి ) সমুদয় বিন্দুবিশেষ বা ভাব অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক স্থল ধৰ্ম্মাবলম্বন করিয়া কেন্দ্রে গমন পূর্বক বলিয়। গিয়াছেন, যেমন কেন্দ্র এক অদ্বিতীয়, তেমনি ভগবান এক অদ্বিতীয়, পরিধির বিন্দু অসীম, সেইরূপ ধৰ্ম্মভাব অসীম, পরিধির বিন্দু সকল কেন্দ্রের সম্বন্ধে সমান, কেহ ছোট বড় নহে, ধৰ্ম্মভাব সকল সেইরূপ ছোট বড় হইতে পারে না । এই জন্য বলিতেন, ধৰ্ম্মরাজ্যে বিবাদ থাকা উচিত নহে । যাহাতে সকলে আপনাপন ভাবে আপনার দিন কাটাইয়। যাওয়া যায়, তাহাই মঙ্গলজনক। এইজন্য বলিতে বাধ্য হইয়াছি যে, বৰ্ত্তমান কালের সাম্প্রদায়িক ভাব চর্ণ করিবার নিমিত্ত রামকৃষ্ণদেপ অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । রামকৃষ্ণের এই নবভাব, এই সৰ্ব্বজনীন ভাবের তাৎপৰ্য্য পুনরায় বলিতেছি । কৃষ্ণ বলিয়া হউক, রাম বলিয়া হউক, কালী বলিয়। হউক, চৈতন্য বলিয়া হউক, মহম্মদ বলিয়া হউক, ঈশ্বর বলিয়া হউক, যে যে কোন ভাবে এক ভগবান জানিয়া, প্রেমে হউক, সত্ত্বমুখ কিম্ব তমোমুখ ভাবে হউক, অথবা কৃপায় হউক, কিম্বা রামকৃষ্ণে বকলমা দিয়া হউক, অর্থাৎ যে যে কোন প্রণালী মতে অনুরাগী হইবেন, তাহারই ঈশ্বর লাভ হইবে । অনেকে ভ্ৰমাবৃত হইয়া বলেন যে, আমরা পৃষ্ঠানদিগের ন্যায় রামকৃষ্ণ ভজাইতে আসিয়াছি, আমি তাহদের অনুরোধ করি, এ প্রকার মীমাংসা করিবার পূৰ্ব্বে আমাদের কথাগুলির মৰ্ম্মোদ্ধার করিয়া লইলে ভাল হয়। আমরা বলিয়। থাকি এই যে, যাহার যাহাতে রুচি, যে ভাবে মন শীতল হয়, যে সাধনায় প্রাণ তৃপ্তি লাভ করে, তাহাই তাহার কৰ্ত্তব্য। যে কেহ কোন সাধন ভজন না করিতে পরিবেন, যে কেহ আপনাকে দুৰ্ব্বল মনে করিবেন, যে কেহ সাহায্যাকাজী হইবেন, তাহার জন্য রামকৃষ্ণ নাম। সে কোথায় যাইবে, সে কোন দেবতার,