পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ రి(సి ) এক্ষণে জিজ্ঞাস্ত হইতেছে যে, রামকৃষ্ণদেবের কথায় বিশ্বাস করিয়া পুরাণ,তন্ত্র এবং যবন ও ম্লেচ্ছাদির ধৰ্ম্মশাস্ত্রকে সত্য বলিয়া স্বীকার করিব কেন ? বিশেষতঃ অদ্বৈতজ্ঞান হিন্দুশাস্ত্রোক্ত, অতি প্রাচীন কাল হইতে যোগপরায়ণ আৰ্য্য ঋষিমুনির পরম আদরের সামগ্রী এবং হিন্দু জাতির ইহাই একমাত্র স্পৰ্দ্ধার বিষয় বলিয়া অদ্যাপি সৰ্ব্ববুধমণ্ডলীর সমক্ষে প্রতীয়মান হইতেছে । রামকৃষ্ণদেব সেই অদ্বৈতজ্ঞানকে হিন্দুর আধুনিক কল্পিত এবং বিজাতীয় শাস্ত্রাদির ভাবের সহিত সমতা করায় কি অন্যায় কাৰ্য্য করেন নাই ? আমি এইরূপ প্রশ্নের উত্তরে অতি বিনীতভাবে বলিতেছি যে, প্রভুর উপদেশের দ্বারা ধৰ্ম্ম লইয়। তুলনা অর্থাৎ কাহারও ইতরবিশেষ করিবার কোন কথাই দেখা যায় না । তিনি এইমাত্র বলিয়াছেন যে, সকল ধৰ্ম্মই সত্য। ধৰ্ম্ম বলিলে অসত্য বা কাল্পনিক মনুষ্য-বুদ্ধিপ্রস্তুত জ্ঞানগর্ভ রচনাবিশেষ নহে। তিনি এই নিমিত্তই অদ্বৈত জ্ঞান অগ্রে লাভপূৰ্ব্বক পরিশেষে কার্য্যের কপী উল্লেখ করিয়াছেন । র্তাহার এই উপদেশের তাৎপৰ্য্য বাহির করিয়া দেখিলে সৰ্ব্বসংশয় ভঞ্জন হইয়া যাইবে । অদ্বৈতজ্ঞান অর্থে এক জ্ঞান বুঝায়। যে জ্ঞানে দুইটা ভাব থাকিতে পারে না, এমন জ্ঞানকেই অদ্বিতীয় জ্ঞান বল যায়। অদ্বৈতজ্ঞান শিক্ষা করিতে হইলে কোথায় যাইতে হইবে ? কে তাহার উপদেশ দিবেন এবং কোন পুস্তকইবা অধ্যয়ন করা যাইবে ? হিন্দুশাস্ত্র, মুসলমানশাস্ত্র, খৃষ্টানশাস্ত্র এই জ্ঞানলাভের সুলভ সোপান ? কোন শাস্ত্রই অদ্বৈতজ্ঞান প্রদান করিতে সমর্থ নহে। হিন্দুশাস্ত্র আলোড়ন করিলে যে প্রকার অদ্বৈত জ্ঞান প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহার আভাস ইতিপূৰ্ব্বে প্রদত্ত হইয়াছে। খৃষ্ট ও মুসলমানগ্রন্থে সে সম্বন্ধে বিশেষ কোন কথা নাই। তবে অদ্বৈতজ্ঞান লাভের স্থান কোথায় ? রামকৃষ্ণদেব