পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭૧૪ ] আসিতেন। এই রূপে তিনি পঞ্চবটী সংগঠিত করিয়া তথায় বেদবিহিত সাধন সমাপন করেন। বেলতলায় পঞ্চমুণ্ডীর আসন স্থাপন পূর্বক তান্ত্রিক যাবতীয় সাধন ব্রাহ্মণীর তত্ত্বাবধারণে পরিসমাপ্ত করেন। প্রভু বলিতেন যে, ব্রাহ্মণীর দ্বারা কৰ্ত্তাভজা, নররসিক, পঞ্চ নামী প্রভৃতি ধৰ্ম্ম সাধনার সহায়ত হইয়াছিল। শিখ, রামাৎ, নিমাং আদি বিবিধ মত সাধনান্তে গোবিন্দ দাস নামক ব্যক্তির নিকটে মহম্মদীয় ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন এবং তিন দিবস সাধনাস্তে তদ্ধৰ্ম্মে সিদ্ধিলাভ করেন । সৰ্ব্বশেষে তিনি খ্ৰীষ্টভাবে অবস্থিতি করিয়া আধুনিক ব্রাহ্ম ধৰ্ম্মটীও দেখিতে বাকী রাখেন নাই । তিনি সৰ্ব্বদা বলিতেন যে, “সখি ! যাবৎ বাচি তাবৎ শিখি।” অর্থাৎ, শিক্ষা না করিলে শিক্ষিত হওয়া যায় না এবং শিক্ষার পরিসমাপ্তি হয় না । মানুষ যতদিন জীবিত থাকে, ততদিন তাহার শিক্ষার সময় । কিঞ্চিৎ শিক্ষার বিশেষ দোষ । তাহাতে মনুষ্যকে প্রবীণ করিয়া তুলে। প্রবীণ হইলেই সৰ্ব্বনাশ, তখন তাহাতে গুরুগিরি আইসে, তখন তিনি সকলকে শিক্ষা দিতে চাহেন, শিক্ষা করিতে র্তাহার আর স্পৃহ থাকে না । শিক্ষা করিতে থাকিলে আপনাকে বিস্মৃত হওয়া যায় না ; পদে পদে আপনার অজ্ঞ তার ভাব উদ্দীপন থাকে বলিয়। অভিমান আসিতে পারে না । রামকৃষ্ণদেব অদ্বৈত জ্ঞান আঁচলে বাধিয়া সৰ্ব্বত্রে সমতা প্রদর্শনপূর্বক বলিয়াছিলেন যে, এক ঈশ্বরের অনন্ত ভাব ; অনন্ত ভাবের পরিচয় স্থূল জগতের অনস্তপ্রকার বস্তু, অনন্তবস্তুর সমষ্টিই ঈশ্বর । তিনি এই ভাবটীর তাৎপৰ্য্যবোধ জন্মাইবার নিমিত্ত বলিতেন যে, চন্দ্র স্বৰ্য্য । এক অদ্বিতীয় । মনুষ্য, জীব, জন্তু, জল, বায়ু, মৃত্তিকা, পাহাড়, পৰ্ব্বত, সকলেই এক স্বৰ্য্য চন্দ্রের দ্বারা আপনাপন ভাবের কার্য্য করিয়া লইতেছে। উদ্ভিদের উদ্ভিদৃদিগের প্রয়োজনমত জীবগণ তাহাদের প্রয়োজন