পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8૧૭ ] তটে মূচ্ছিত হইয়া পড়িতেন, কোনমতেই তাহার মূছ অপনোদন হইত না । দুনয়নে ধারা প্রবাহিত হইয়া ধরাতল অভিসিক্ত করিত। এত অশ্রু নিপতিত হইত যে, তিনি যে স্থানে পতিত হইয়া থাকিতেন, সে স্থান একেবারে কর্দমময় হইয়। যাইত। পরে কর্ণমূলে মা নাম বারস্বার উচ্চারণ করিলে তবে তাহার চৈতন্য হইত। f বেদ, পুরাণ এবং তন্ত্র বিশ্লিষ্ট করিলে বুঝা যায়, এই শাস্ত্রত্ৰয়ের উদেখ একই প্রকার, কার্য্যও একই প্রকার, কেবল কাৰ্য্যপ্রণালী বিভিন্ন প্রকার বলিয়া অবগত হওয়া যায়। কার্য্য প্রণালী গুণভেদে অবগুই পৃথক হইবে, তাহ লীলা ময়ের অপরিবর্তনীয় লীলা রহস্য । শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণদেব এইরূপে বেদ, পুরাণ, তন্ত্রের মুখ্য উদ্দেশু বাহির করিয়া একীকরন করিয়া দিয়াছেন । কেবল হিন্দুশাস্ত্র কেন, কোরাণ বাইবেল এবং অন্যান্য প্রকাগু এবং অপ্রকাগু সাধন পন্থাদি আলোচনা এবং সাধন করিয়া সৰ্ব্বত্রে এক অদ্বিতীয় সৎ বস্তুরই সত্ত্ব। দর্শন করিয়া বলিয়া গিয়াছেন, “অদ্বৈত জ্ঞান অণচলে বাধিয়। যাহা ইচ্ছ। তাহাই কর।” 醜 রামকৃষ্ণদেবের উপদেশানুসারে আমরা কোন শাস্ত্রবিশেষকে শ্ৰেষ্ঠাসন দিতে পারি নাই। বেদ সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, পুরাণ মধ্যম এবং তন্ত্র কনিষ্ঠ, এমন কোন কথা বলিবার আমাদের অধিকার নাই । বেদ অতি প্রাচীন গ্রন্থ, পুরাণ তাহাপেক্ষা আধুনিক এবং তন্ত্র কল্যকার প্রণীত, এমন কথা বলিবার কোন হিন্দুর অধিকার নাই । শাস্ত্র বাক্য সমুদয় সত্য, অভ্রান্ত, নিত্য, রামকৃষ্ণদেব শ্ৰীমুখে সৰ্ব্বদাই এই কথা বলিতেন। অধিকারীভেদে শাস্ত্রবিশেষের উপযোগিতা হইতে পারে, তাহা বলিয়া শাস্ত্র ছোট বড় হয় না। অধিকারী ছোট বড় হইতে পারে। হিন্দুরা এইজন্য সকল শাস্ত্রই