পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8>> || দিত নাই। বলিতে বলিতে অমনি গৃহট আলোকমালায় পরিপূর্ণ হইয়া গেল । সেই আলোকরাশি ক্রমে ঘনীভূত হইয়া অপূর্ব মূৰ্ত্তিতে পরিণত হইয়া যাইল। নারায়ণ মূৰ্ত্তি দেখাইয়া কহিলেন, ঐ দেখ, তোমার অভীষ্ট-দেবী জগৎলক্ষ্মী আবির্ভত হইয়াছেন। বিশ্বাসী উচ্চৈঃস্বরে যেমন মা মা বলিয়। উঠিলেন, মাতা অমনি বাহুযুগল প্রসারণ করিয়া কহিলেন, আয় বাছা! আমার কোলে আয়! আয় ! আয় ! ক্ষীর ভারে আমি কাতর হইয়াছি, আমার যন্ত্রণা দূর কর। বিশ্বাসী মাতার ক্রোড়ে শয়ন পূর্বক উদর পূর্ণ করিয়া স্তন্য-সুধা পান করিয়া লইল । হায়! সে বিশ্বাস কোথায়! আমরা ছার জ্ঞান-গরিমায়; অবিশ্বাসী হইয়া ভগবৎ প্রেম-সুধারসে বর্জিত হইয়া, পৃথিবীর শুষ্ক তৃণগুচ্ছ লইয়া নিৰ্ব্বিবাদে দিনযাপন করিয়া যাইতেছি । রে বিশ্বাসী! তোর পদধূলি দে ভাই ! তোর ধূলি পাইলে যদ্যপি এক পরমাণুও বিশ্বাস সঞ্চার হয়, তাহা হইলেও এক সময়ে মহামায়ার ক্রোড়ে শয়ন করিতে না পারি, তাহার রাঙ্গা চরণ দুইখানি দর্শন করিয়া মানবজীবন সফল করিতে পারিব। রামকৃষ্ণদেব এইরূপ বিশ্বাসের ঘনীভূত মূৰ্ত্তি দেখাইয়া গিয়াছেন। বিশ্বাস কাহাকে বলে, বিশ্বাসীর আদর্শ কি, বিশ্বাসীর জীবন কিরূপে কাটিয়া যায়, তাহার রামকৃষ্ণই একমাত্র দৃষ্টান্তস্থল। তিনি শিশুর ন্যায় সকল কথাই মাকে বলিয়া দিতেন । তাহাকে কেহ কোন কথা বলিলে তিনি তৎক্ষণাৎ কালীর মন্দিরে যাইয়া সে কথাগুলি মাকে জানাইয়া আসিতেন। ሢ এক দিন তাহার ভ্রাতা হলধারী বলিয়াছিলেন যে, তোমার মস্তিষ্ক বিকৃত হইয়। গিয়াছে, তজ্জন্য নানাপ্রকার ভ্রম দর্শন করিয়া থাক। আমার নিকট দুইদিন বেদান্ত শাস্ত্র শ্রবণ করিলে প্রকৃত