পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 88 | করতালি দিয়া নৃত্য করিবার সময় মন হইতে কামিনীকাঞ্চন ভাব একেবারে অদৃগু হইয়া যায়, তখন স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পিতা, মাতা, ভাই, বন্ধু, ধন, ঐশ্বৰ্য্য, কুটুম্বাদি মনে আসে না,তখন লজ্জা, ঘৃণা, ভয়, মান ও মৰ্য্যাদা মনে স্থান পায় না, তখন নামের গুণে প্রাণ মাতিয়া উঠে, তখন মন আপনি শ্রীহরির ধ্যানে নিমগ্ন হয় তখন হরিধ্যান, হরিজ্ঞান, শ্ৰীহরি বৃন্দাবনবিহারী যেন হৃদয়বৃন্দাবনে ভুবনমোহনবেশে মনকদম্বের মূলে আসিয়া দণ্ডায়মান হন। তখন সেই মোহনমূরলীর রাধা রাধা ধ্বনি প্রাণ ভরিয়া শ্রবণ করিতে করিতে, মহাভাবময়ী শ্রীরাধা বংশীধারীর বামে উপস্থিত হইয়া, মহাভাবে নিপতিত করেন। নাম সাধনার দ্বারা জীবের যেরূপ ফল হয়, তাহ কলির জীবকে শিক্ষা দিবার নিমিত্ত শ্ৰীগৌরাঙ্গ নাম সাধনা প্রক্রিয়ার স্বত্রপাত করিয়া যান, কিন্তু কালের বিক্রম অতিক্রম করিতে সামান্য নরনারী কিরূপে সমর্থ হইবে ? বিশেষতঃ প্ৰভু যে অবস্থায় তাহ সাধন করিতে বলিয়া গিয়াছিলেন, তাহা হইতে উদেশ্বচু্যত হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা ছিল । তিনি উদ্দেশ্যে হরির নাম দিয়া কামিনীর সম্বন্ধ রাখিয়াছিলেন, ক্রমে কামিনী যাইয়া উদ্দেশ্য হইয়া দাড়াইল । এইরূপ অবস্থা হইবে জানিয়াও যে জন্য তিনি ঐ প্রকার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন, তাহ বৰ্ত্তমানকালে প্রকাশ পাইয়াছে। কামিনীকাঞ্চনের সংসর্গে সুখী হওয়া যায় না, তাহা সত্ত্ব রজোগুণের ধৰ্ম্মেই উল্লিখিত হইয়াছে। লোকের যে পর্য্যস্ত কামিনীকাঞ্চনের আভ্যন্তরিক রহস্ত সম্পূর্ণরূপে অনুধাবন না হয়, সে পৰ্য্যস্ত তদ্বিষয়ের মীমাংসা হইতে পারে না। কামিনীকাঞ্চনে না ডুবিলে তাহার প্রকৃত অবস্থা বুঝা যায় না এবং ডুবিলেও উঠিবার উপায় থাকে না । কামিনীকাঞ্চন হ্রদে তাহারা নিমজ্জিত হইলে নানাবিধ উপসর্গরূপ কুমীকীট