পাতা:রামচন্দ্র দাসের জীবনচরিত.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( & ) বিষ্ণু-মন্ত্রে দীক্ষিত ও কৃষি-কার্য্যে বিলক্ষণ কুশল ছিলেন । তিনি রুষি-কাৰ্য্য-কুশলতা-গুণে অলঙ্কত হইয়া সংসার যাত্রা সুখ-সচ্ছন্দে নিৰ্বাহ করিতেন । দানশীলতা গুণেও ভূষিত ছিলেন ; একবার স্বগ্রামস্থ সভাকর বা শোভাকর ব্রাহ্মণদিগের ধান্যের অভাব শ্রীতিগোচর হওয়াতে র্তাহাদিগকে আহবান করিয়া কহিয়াছিলেন যে, “আপনার স্বয়ং এক প্রহর কাল আমার ধানের গোলা হইতে যত ধান বাহির করিতে পারিবেন তাহাই আপনারা লইয়া যাইবেন” । ব্রাহ্মণের সেৰাপ করিয়া স্বগৃহে ধান্য লইয়া গিয়াছিলেন । নীলমণি দাস এৰূপ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ও অধ্যবসায়ী ছিলেন যে, তাহা শ্রবণ করিলে চকিত এবং সহৃদয়দিগকে পুলকিত হইতে হয় । পুলকিত বিষয় পাঠ করিতে সকলেই উৎসুক হইয়া থাকেন, এজন্য অধ্যবসায়ী নীলমণির আজীবন বিরত করা অগ্রেই আবশ্যক বোধ হইতেছে । অপর য়ুরোপীয় রাজনীতিজ্ঞ লর্ড বেকন কহিয়াছেন, “কেল্লাহ যদি অবস্থান্তর প্রাপ্ত হইয়া উচ্চ-পদে অধিরোহণ করেন, তাহা হইলে লোকেরা তাহার কুল, শীল, মর্য্যাদা, পিতা,