পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ উভয় বন্ধুতে মিলিয়া আরব্য উপন্যাস বাঙ্গালাতে অনুবাদ করিয়া মুদ্রিত করেন । কালেজ ছাডিয়া তিনি কয়েক বৎসর প্রথমে জি. টি. সারভে অফিসে ৩০২ টাকা বেতনে কম্পিউটারের কাজ কবেন । তৎপরে ১৮৩৮ সালে ডেপুটী কালেক্টবোব পদে উন্নীত হইয়া বালেশ্বর গমন কবেন । ১৮৪৪ সালে বালেশ্বর হইতে মেদিনীপুবে বদলী হন। ১৮৫০ সালে কলিকাতাব সন্নিকটস্থ আলিপুবে চব্বিশ পরগণার ডেপুটী কালেক্টাব হই যা আসেন। ১৮৫৭ সালে যখন সিপাই বিদ্রোহ উপস্থিত হয, তখন শিবচন্দ্র বাবুকে অকারণ একটু বিপদে পড়িতে হইয়াছিল। সে সমযে একদিন তিনি রেলগাডিতে কলিকাতায় আসিতেছিলেন । সেই গাডিতে কয়েকজন ইউবোপীয় ভদ্রলোক ছিলেন । কথা প্রসঙ্গে মিউটনীর কথা উপস্থিত হয । তখন শিবচন্দ্ৰ বাবু স্বাধীনভাবে স্বীষ মত প্ৰকাশ করেন। সেই ইংরাজ ভদ্রলোকগুলি কলিকাতাতে পৌছিযাই এই কথোপকথনেব বিষয গবৰ্ণমেণ্টেব্য গোচর করেন । এই সামান্য কাবণে গবৰ্ণমেণ্ট তাহাব নিকট কৈফিযৎ চাহিয। পাঠান । ইহাব পাবে তিনি আবও অনেক পদে উন্নীত হইয, দক্ষতার সহিত অনেক কায্য কবিয ১৮৬৩ সালে বিষয্য কৰ্ম্ম হইতে অবস্থিত হন । অপব্যাপব লোকোব পক্ষে বিষয্য কৰ্ম্ম হইতে অবস্মত হু ওযাব অর্থ সম্পূৰ্ণৰূপে বিশ্রাম-সুখ ভোগ কবা , কিন্তু শিলচন্দ্র দেব মহাশষের পক্ষে তদ্বিপবীত ঘটিল। পেনশন লাইয। কোন্নগরে বাস করিয়াই তিনি স্বীয় বাসগ্রামের সর্ববিধ উন্নতি-সাধনে মনোনিবেশ কবিলেন । পুর্ব হইতেই স্বদেশের উন্নতি-সাধনে তিনি মনোযোগী ছিলেন। মেদিনীপুরে বাস কালে সেখানে একটি ব্ৰাহ্মসমাজ স্থাপন করিয়াছিলেন। তৎপবে কলিকাতাতে বদলী হইষাই স্বীয বাসগ্রামেব উন্নতিব দিকে তাহার দৃষ্টি পতিত হয। তৎপুর্বে ১৮৫২ সালে গ্রামবাসিগণকে সমবেত কবিয কোন্নগর হিতৈষিণী সভা নামে একটি সভা স্থাপন করেন। ১৮৫৪ সালে তঁহারই প্রযত্নে ও তাহাব বন্ধুগণেব সাহায্যে একটি ইংবাজী স্কুল স্থাপিত হয। ইহার পুর্বে উক্তগ্রামে চার্ডিঞ্জ বাহাদুবেব সময়েব স্থাপিত একটি মডেল বাঙ্গালা স্কুল মাত্ৰ ছিল। ইংৰাজী স্কুল স্থাপিত হওয়ার পর ১৮৫৬ সালে গবৰ্ণমেণ্ট বাঙ্গালা স্কুলটি তুলিয়া দেন। কিন্তু গ্ৰামমধ্যে একটি বাঙ্গালা স্কুল থাকা আবশ্যক বোধে ১৮৫৮ সালে প্ৰধানতঃ তাহার উদ্যোগে আবার একটি বাঙ্গালা স্কুল স্থাপিত হয় । স্কুল দুইটি স্থাপন করিয়া তিনি গ্রামবাসিগণের ব্যবহারার্থ একটি সাধারণ পুস্তকালয়ের অভাব অনুভব করিতে লাগিলেন। তদনুসারে প্রধানতঃ তাহার চেষ্টাতে ১৮৫৮ সালে একটি সাধারণ পুস্তকালয় স্থাপিত হইল।