পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांवरळ व्गांड्रिौ ७ ख्षकांबौन बनवांख একদিকে যখন প্ৰাচীন ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ অনুশীলনেব চেষ্টা চলিতে লাগিল, অপবদিকে ১৮৪৩ সালের ৭ই পৌষ দিবসে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশষ প্ৰায় বিংশতিজন ব্যযন্তেব সহিত প্ৰকাশ্যভাবে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইলেন ; এবং ব্ৰাহ্মসমাজেব উন্নতি ও ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মের প্রচার কল্পে আপনার সমগ্ৰ হৃদয় মন নিযোগ কবিলেন , তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্ৰকাশিত হইল ; সুবিখ্যাত অক্ষয্যকুমাব দত্ত মহাশষ তাহাব সম্পাদকতা ভার গ্ৰহণ কবিলেন ; এবং রাজেন্দ্রলাল মিত্র, পণ্ডিতবব ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর প্রভৃতি অনেক লব্ধপ্ৰতিষ্ঠ ব্যক্তি তাহার লেখক-শ্রেণী গণ্য হইলেন। ঈহার পুর্বে ব্ৰাহ্মসমাজের অবস্থা অতি শোচনীয হঈষা দাড়াই যাছিল , ১৮৩০ সালে রামমোহন বায বিলাত যাত্ৰা করিলে ব্ৰাহ্মসমাজেব কাৰ্য্যভার প্ৰধানতঃ ইহার প্রথম আচাৰ্য্য বামচন্দ্ৰ বিদ্যাবাগীশ মহাশযেব উপবে পতিত হয। সে বৃদ্ধ ব্ৰাহ্মণের অনুবাগের অল্পতা ছিল না ; কিন্তু কতিপয় বৎসরেব মধ্যেই সমাজের সভ্যগণ অনেকেই ইতাকে পবিত্যাগ কবিলেন। তখন কেবল একমাত্র দ্বাবকানাথ ঠাকুব ও অপব কতিপয় ব্যক্তি বৃদ্ধ আচাৰ্য্যের পৃষ্ঠপোষক হইষা সমাজকে রক্ষা করিতে লাগিলেন। একাপ শুনিতে পাই সমাজেব সমগ্ৰ মাসিক ব্যয একা দ্বাবকানাথ ঠাকুব দিতেন । সুতবাৎ এই ১৮৪৩ সালকেই ব্ৰাহ্মসমাজেব পুনরুখানেব। বৎসব বলিতে হইবে। দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুব ইহাকে পুনর্জীবিত করিলেন। তঁাহাব প্ৰতিষ্ঠিত তত্ত্বলোধিনী পাঠশালা কযেক বৎসব পবে কলিকতা তইতে বঁাশবেডিয। গ্রামে উঠিযা যায, পরে ১৮৪৬ সালে ইংলেণ্ডে তাহাব পিতাব মৃত্যু হইলে বিলোপ প্ৰাপ্ত হয। তত্ত্ববোধিনী পাঠশালা হহঁতে তিনি চাবিজন ব্ৰাহ্মণকে চাবিবেদ পাঠ কবিবােব জন্য কাশীতে প্ৰেবণ কবিযাছিলেন, পুর্বোক্ত কাবণে র্তাহাদিগকেও ফিবিয আসিতে হয় । ১৮৪৪ সালে দুইটি ঘটনা ঘটে। প্ৰথম, বৰ্ত্তমান মেটকাফ হলোব নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য শেষ হইলে পাবলিক লাইব্রেবী। সেই ভবনে উঠিয়া আসে। নব্যবঙ্গের অন্যতম নেতা প্যারীচঁাদ মিত্ৰ মহাশয় উহাব লাইব্রেরীয়ান নিযুক্ত হওয়াতে লাইব্রেরীটি রামগোপাল ঘোষ, তারাচাদ চক্ৰবৰ্ত্তী, বামতনু লাহিড়ী প্ৰভৃতি যুবকদলের একটি সম্মিলন ও জ্ঞানালোচনার ক্ষেত্ৰ হইয উঠে । বিশেষতঃ রামগোপাল ঘোষ এই লাইব্রেরীর একজন প্ৰধান উৎসাহদাতা ও অধ্যক্ষ হন । দ্বিতীয় ঘটনা, দ্বারকানাথ ঠাকুর মহাশয়ের দ্বিতীয়বার বিলাত গমন । এবার তিনি বিলাত যাত্রার সময় নিজের উদার হৃদয ও দেশহিতৈষিতার অনুরূপ একটি সৎকাৰ্য্য করেন। কলিকাতা মেডিকেল কলেজ স্থাপনে তিনি যে বিশেষ সহায়তা করিয়াছিলেন তাহা অগ্ৰেই বলিযাছি । উক্ত কলেজেব ৰক্তমান হাসপাতালটি নিৰ্ম্মাণের জন্য অনেক টাকা দিয়াছিলেন, তাহারও