পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ S yVS) শিক্ষিত সমাজেব জন্য লিখিত পত্ৰ সকলেও এমন সকল ব্ৰীড়াজনক বিষয় বাহির হইত, যাহা ভদ্রলোকে ভদ্রলোকোব নিকট পাঠ করিতে পারিত না । এই কাবণে রামগোপাল ঘোস প্ৰভৃতি ডিবেজিওল শিষ্যগণ ঘূণাতে দেশীয় সংবাদপত্র স্পর্শও কবিতেন না। কিন্তু অক্ষষকুমাব দত্ত সম্পাদিত তত্ত্ববোধিনী যখন দেখা দিল, তখন তাহাবা পুলকিত তই যা। উঠিলেন। বামগোপাল ঘোষ একদিন লাহিডী মহাশষকে বলিলেন--"বামতনু বামতনুy ৷ বাঙ্গালী ভাষায্য গম্ভীব ভাবোধ বচন দেখেছি ? এই দেখ,” বলিয। তত্ত্ববোধিনী পাঠ কবিতে দিলেন । ১৮৪৩ সাল হইতে ১৮৫৫ সাল পৰ্য্যন্ত অক্ষয বাবু দক্ষত সতকাবে * তত্ত্ববোধিনীল সম্পাদন কায্যে নিযুক্ত ছিলেন । ইতিমধ্যে অর্থোপাৰ্জনেব কত উপায তাহার অন্তেব্য নিকট আসিযাছে, তিনি তাহাব প্ৰতি দৃকপাত ‘ওঁ ক’বেন। নাই । এই কাৰ্য্যে তিনি এমনি নিমগ্ন ছিলেন সে, এক এক দিন জ্ঞানালোচনাতে ও তত্ত্ববোধিনীব প্ৰবন্ধ লিখিতে সমস্ত বত্ৰি অতিপতিত হইযা যাইত, তিনি তাই। অনুভবও কবিতে পাবিতেন না । এই কালেব মধ্যে অক্ষয বাবু আব্ব একটি মহৎ কার্স্য সংসাধন কবিধাছিলেন, যে জন্য তাহাব নাম ব্রাহ্মসমাজেব ভীতিব্লত্তে চিবিস্মবাণীব্য তইটয থাকিবে । ব্ৰাহ্মসমাজেব পৰ্ম্ম অগ্ৰে বেদান্তধৰ্ম্ম ছিল ৷ ব্ৰাহ্মগণ বেদেব অভ্রান্ততাতে বিশ্বাস কবিতেন। অক্ষয্যকুমাব দত্ত মহাশয এই উভয্যের প্রতিবাদ কবিয বিচাবি উপস্থিত কবেন । প্ৰধানতঃ তাত বই প্ৰবোচনাতে মহর্ষি দোধেন্দ্ৰনাথ ঠাকুব উভয বিষষে গভীব চিন্তাষ ও শাস্ত্রানুসন্ধানে প্ৰবৃত্ত হন। তাহাব প্ৰকৃতি অগ্ৰে বৰ্ণন কবিযাছি, তিনি সহজে স্বীয অবলম্বিত কোনও মত প। কাষ্যপ্ৰণালী পবিবৰ্ত্তন কবিতেন না। শীব্ৰ কিছু অবলম্বন কবিতেন না, কবিলে শীঘ্ৰ ছাডিতেন না। আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে, ঈশ্ববালোকে, বহু পৰীক্ষাব পাব কৰ্ত্তব্য নির্ণয কবিতেন , এবং একবাব যাহা নির্ণীত হইত। তাহা হইতে সহজে বিচলিত হইতেন না । সুতরাং তাহাকে বেদান্তধৰ্ম্ম ও বেদেব অভ্রাতৃপ্ততা তইতে বিচলিত কবিতে অক্ষয বাবুকে বহু প্ৰব্যাস পাইতে তইষাছিল। ১৮৫০ সালে দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুব মহাশষ বহু অনুসন্ধান ও চিস্তার পব অক্ষয বাবুর অবলম্বিত মত যুক্তিসিদ্ধ জানিয়া, বেদান্তবাদ ও বেদেব অভ্রাস্তিতা বাদ পরিত্যাগ কবিলেন। তাহার সাহায্যে ‘ব্রাহ্মধৰ্ম্ম” নামক গ্ৰন্থ সংকলিত হইল, ইহা চিবদিন মহাধিব ধৰ্ম্মজীবনেব পরিণত ফল স্বৰূপ বিদ্যমান বহিয়াছে। যে ১৮৫২ সালের কথা কহিতেছি, তখনও এই মহা পবিবৰ্ত্তন ব্ৰাহ্মসমাজকে ও সমগ্ৰ বঙ্গদেশকে আন্দোলিত করিতেছে। তখনও দত্তজ মহাশয় স্বীয় মতের জয় দেখিয়া মহোৎসাহে উদার, আধ্যাত্মিক, একেশ্বরবাদের মহানিনাঙ্গে তত্ত্ববোধিনীর প্রবন্ধ সকলকে পুর্ণ করিতেছেন। ইহার পরেও অক্ষয় বাবু কয়েক বৎসর। কাৰ্য্যক্ষেত্রে দণ্ডায়মান ছিলেন