are পরিচ্ছেদ 한 @冲 মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঈশ্বরচন্দ্র যখন মৃত্যুশয্যায় শয়ান, তপন মধুসুদন লোকচক্ষের 'অগোচবে থাকিয়া প্ৰতিভা বলে উঠিযা দাডাইবােব জন্য দুবন্ত পৰিশ্ৰম কবিতেছিলেন। মধুসুদন যশোব জেলাস্থ সাগবদাড়ী নামক গ্রামবাসী বাজনারাযণ দত্তেব পুত্র। র্তাহাব পিতা। কলিকতাব সদব দেওযানী আদালতের এক জন প্ৰসিদ্ধ উকীল ছিলেন ; এবং তদুপলক্ষে কলিকতাব উপনগরবাৰ্ত্তী খিদিরপুৰ নামক স্থানে বাস করিতেন। ইংরাজী ১৮২৪ সালে, ২৫শে জানুyযারী তঁহােব জন্ম হয়। র্তাহাব জননী জাহ্নবী দাসী কাটিপাড়াবা জমিদার গৌরীচবণ ঘৈাসেব কন্যা । জাহ্নবীর জীবদ্দশাতেই বিলাস-পরাযণ রাজনবায়ণ আর তিনটি বিবাহু কবিয়াছিলেন। দুইটি সহোদর ভ্ৰাতাব অকালে মৃত্যু হওযায় মধুসুদন স্বীয় জননীব একমাত্র পুত্র ছিলেন। সুতবাং তিনি শৈশবাবধি মাযের অঞ্চলেব নিধি, আব্দুবে ছেলে ছিলেন । রাজনবায়ণেব অর্থেব অভাব ছিল না ; সুতবাং অর্থেব দ্বারা সস্থানকে যতদূব আদিব দেওযা যায়, মধুসূদনেব। পিতামাতা পুত্ৰকে তাহা দিতে কখনই কৃপণতা করিতেন না । মধুসুদন প্ৰথমে সাগবর্দাভীতে জননীর নিকট থাকিযা পাঠশালাতে বিদ্যাশিক্ষা আবিস্তম্ভ কবেন । ১২১৩ বৎসব বয়সে। তঁাহাব পিতা তাহাকে নিজের খিদিরপুবেব বাটীতে আনিষ হিন্দুকলেজে ভক্তি কবিয দেন। কলেজে পদার্পণ করিবামাত্ৰ মধুসূদনেব আশ্চৰ্য্য ধীশক্তি সকলেব গোচব চাইল । তিনি ১৮৩৭ সালে কলেজে প্ৰবিষ্ট হইয। ১৮৪১ সাল পয্যন্ত তথািয পাঠ কবিয়াছিলেন । এই অল্পকালেব মধ্যে সিনিযার স্কলাশিপে বা শ্রেণী পৰ্য্যন্ত পাঠ কবেন , এবং সকল শ্রেণীতেই অগ্রগণ্য বালকদিকোব মধ্যে পবিগণিত ৬ই য়াছিলেন। সে সময়ে যাহাবা তাহাব সমাধ্যায়ী ছিলেন, তাহারা বলেন যে, তিনি গণিত বিদ্যান্য একেবারে অবহেল। প্ৰকাশ করিতেন এবং কাব্য ও ইতিহাস পাঠেই অধিক মনোযোগী ছিলেন। আদুরে ছেলেব চবিত্রে সে সকল লক্ষণ প্ৰকাশ পায় তাহ এ সমযে তাহাব চরিত্রে সুস্পষ্ট প্ৰতীযমান হইত। তিনি অমিতব্যয়ী, বিলাসী, আমোদ-প্ৰিয, কাব্যানুবাগী ও বন্ধুবান্ধবোব প্ৰতি গ্ৰীতিমান ছিলেন। ধূলিমুষ্টির ন্যায় অর্থমুষ্টি ব্যয কবিতেন। সে৷ সমযে সুবাপান ইংবাজী শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের মধ্যে একটা সৎসাহসের কাৰ্য্য বলিযা গণ্য ছিল , মধুসূদনের সমযে কলেজেব অনেক ছাত্র সুবাপান কবীকে বাহাদুরিব কাজ মনে কবিত। মধু তাহাদেব মধ্যে একজন অগ্রগণ্য ছিলেন। এতদ্ব্যতীত অপরাপব অসমসাহসিক পাপ কাৰ্য্যেও তিনি লিপ্ত ই ইতেন। পিতামাতা দেখিয়াও দেখিতেন না ; ববং অর্থ যোগাইয়া প্রকারান্তরে উৎসাহদান কবিতেন। যাহা হউক, বিবিধ উচ্ছঙ্খলতা সত্ত্বেও মধুসুদন জ্ঞানানুশীলনে কখনই অমনোযোগী হইতেন না। কলেজে তিনি
