পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পবিচ্ছেদ VNO করিল। এদিকে একমাসের মধ্যেই ইন্দুমতীর জীবনের আশা চলিযা গেল ; চিকিৎসকগণ জবাব দিলেন। এই সঙ্কটাবস্থায় পবম বন্ধু বিদ্যাসাগব মহাশযের পবামর্শে, ইন্দুমতীব অবসান কাল কৃষ্ণনগরে যাপন কবিবােব উদ্দেশে, লাতিউী মহাশয় পরিবার পবিজনকে লইযা স্বদেশাভিমুখে যাত্রা কবিলেন । তখন ইন্দুব এমন অবস্থা যে, তাহাকে হুগলীতে নামাইয। নৌকাযোগে কৃষ্ণনগবে व्लशेब्री भांडें८ऊ झज्ञेव्न । কৃষ্ণনগবে পৌছিযা ইন্দুমতী শেস শয্যা, মৃত্যু-শয্যা পাতিলেন । লাহিডী মহাশয়েব পত্নীর কথা আর কি লিখিব। হে পাঠক ! যদি মৃানুষের হৃদয থাকে। তবে একবাব ধাবণা করিবাব চেষ্টা কব, সেই ভগ্নহৃদযা মাতা কি ভাবে সংসাবে বা কাজ ও পীডিত সন্তানদেব সেবা চালাইতে লাগিলেন। সাবে কি নাবী জাতি কে এত শ্রদ্ধ| কবি, ইন্দুমতী মবিতে মন্বিতেও কেবল জ্যেষ্ঠ সহোদবেব চিন্তাই কবিতেন । পিতা বা মাত । নিকটে আসিয়া বসিলে, সুস্তিব হইযা বসিতে দিতেন না , বলিতেন, “তোমাব। দাদাকে দেখ, তোমাব| দাদাকে দেখ, আমাৰ কাছে বসবাব দবকার নেই , আমােব কাছে দিদিবা আছেন।” এইরূপ প্ৰায প্ৰতিদিন তুলিযা দিতেন । ওদিকে নবকুমাব বুঝিলেন ভগিনীর আসন্নকাল উপস্থিত। , এবং ইন্দু তাহাব জন্যই মন্বিতেছে , সুতবাং তিনি নিজেব অসুখ ভুলিযা গিয ভগিনীীব শুশয্যার জন্য ব্যস্ত হইলেন । বার বাব উঠিযা ভগিনীকে দেখা, সমযে ঔষধ পড়িতেছে কি না, যাহা আবশ্যক তাহা হইতেছে কি না, এই সকল সংবাদ লওয, নিবাস্তব এই কাজ চলিল। ইন্দুর বোগের উপশম কিসে হত্য সে বিষযে অবিশ্রাস্তু মনোযোগ দিতে লাগিলেন । যেন তাহাব শক্তি থাকিলে মৃত্যুব মুখ হইতে ভগিনীকে ছিডিযা আনেন । কিন্তু হয় কে কবে মৃত্যুব মুখ হইতে মানুষকে ছিডিষা আনিষাছে ! ইন্দুব জীবন নির্বাণোন্মুখ প্ৰদীপেৰ ন্যান্য ত্ববাষ ক্ষীণ প্ৰভা ধারণ করিল । অবশেষে ১৮৭৭ সালেব ৪ঠা ডিসেম্ববের বিষম দিন উপস্থিত হইল। ঐ দিনে মুতুব কিযৎকাল পুর্বে ইন্দুমতী পিতাকে দেখিবাব জন্য ব্যগ্ৰতা প্ৰকাশ কবিতে লাগিলেন। ইন্দুমতী ভগিনীকে বলিলেন, “দিদি ৷ বাবাকে একবার ডাক ।” তখনি রামতনু বাবুকে ডাকিযা আনা হইল। তিনি আসিযা দেখিলেন ইন্দু ছট ফট কবিতেছেন ; ক্ষণকাল ও স্থির থাকিতে পারিতেছেন না । পিতা জিজ্ঞাসা করিলেন-“ইন্দু । কেন আমাকে ডেকেছ ?” ইন্দুমতী চক্ষু খুলিষা পিতার মুখেব দিকে চাহিত্যা বলিলেন— “বাবা ! আজি আমার কাছে বসো ,, আজ আমাকে বন্ড অস্থিব কাবুচে ।” লাহিড়ী মহাশয় নিকটে বসিয়া কন্যার হাতখানি নিজের হাতে লইয়া বলিলেন, “ইন্দু! আমাদের যা করবার ছিল করেছি, আর কিছু করবার নেই, এখন ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা ক’ব যে, তিনি তোমাকে ত্বরায় এ যাতনা হতে উদ্ধার BDBDB S SDD DB DDBDBB BBDBD BBDJSuDD DBDB DBBD