পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পবিচ্ছেদ V DBuDu DD DBLDL DDBDB DBBDDSS S BDDDS S SKDBD BBDD যথেচ্ছভাবে রাজপথের পার্শ্বে, বা মাঠে চডিযা বেন্ডাইত। বালক রামতনু সমবয়স্ক বন্ধুদলে পরিবেষ্টিত হইয়া ঐ সকল ঘোডা ধবিয়া চডিতেন। যাহাদের ঘোডা তাহাবা জানিতে পাবিলে তাডা করিত, তখন বালকদল চক্ষেব নিমিষে। খানাখন্দ পাব হইয়া পলায়ন করিত। এই ঘোড চডিবাব সখাটা এতই প্ৰবল ছিল যে, তাহাব সঙ্গীদিগের মধ্যে একটি অধিক বযস্ক বালক ঘোড়া কিনিবাব জন্য এক জনের অনেকগুলি টাকা চুরি করিয়াছিল। তিনি তখন তাতাব উৎসাহদাতাদিগের মধ্যে একজন ছিলেন । বালক বামতনু যে কেবল ঘোড়া চডিয়া সঙ্গীদিগের সহিত আমোদ প্ৰমোদ কবিতেন তাত নহে। তখন কৃষ্ণনগবেব চতুর্দিকে বালকদলের বিহাবোপযোগী অনেক উদ্যান ও মনোরম প্ৰাকৃতিক দৃশ্যাবলী ছিল। রাজপরিবাব ও তৎসংসৃষ্ট পবিবারগণ এই সকল উদ্যানেব সত্ত্বাধিকারী ছিলেন । ইহাব মধ্যে শ্ৰীবন সর্বোপরি উল্লেখ-যোগ্য । এই উদ্যানটি কৃষ্ণনগবের এক ক্ৰোশ। পুর্বদক্ষিণে অঞ্জনা নামক নদীব তীব্বে অবস্থিত। বাজ। ঈশ্ববচন্দ্ৰ এই উদ্যান স্থাপন কবিয এখানে একটি সুবাম্য হর্ম্য নিৰ্ম্মাণ কবেন । তদবধি ইহা কৃষ্ণনগবের একটি আকর্ষণেব বস্তু ছিল। দুঃখেব বিষয় শ্ৰীবনেব সে পুর্ব শ্ৰী আব নাই । যে সুরম্য প্ৰাসাদ ইহার প্রধান সৌন্দৰ্য্য ছিল তাহাব ভগ্নাবশেষও এখন নাই । ক্ষিতীশবংশাবলী-চরিতকাব উক্ত স্থানেব নিম্নলিখিতরূপ বর্ণনা কবিযাছেন :- “এই স্থান অতি রমণীয। অঞ্জনা যদিও এখন স্থিবি-সলিলা হইয গতিবিহীন হইয়াছে, তথাপি তদীয পুর্বকালীন মনোহারিণী শোভা এককালে তিবোহিত হয নাই। প্ৰায অৰ্দ্ধ ক্রোশ পৰ্য্যন্ত ইহার উভয কুলে গ্ৰাম্য বৃক্ষ-সমূহ শ্রেণীবদ্ধ থাকাতে, এরূপ অপৰূপ শোভা হইযা রহিষাছে, যেন কোন প্ৰকৃতি-প্ৰিয় মহাপুরুষ, স্বভাবের সৌন্দৰ্য্য প্ৰদৰ্শন কবিবার বাসনায, নিবিড কানন মধ্যে এই জলাশয প্ৰস্তুত কবিয বাখিযাছেন। প্ৰাহে, অপরাঙ্কে, অথবা রজনীকালে, এই নদীতে নৌকারোহণ কবিযা ইতস্ততঃ নয়ন সঞ্চাবণ করিবামাত্ৰ অসুস্থ হৃদয়ে সুস্থতা লাভ হয। কতিপয বর্ষ পুর্বে আমাদিগের স্বপ্রসিদ্ধ কবিবর মাইকেল মধুসুদন এই নদীর অপুৰ্ব্ব শোভা সন্দর্শনে কহিয়াছিলেন,-“হে অঞ্জনে ! তোমাকে দর্শন কবিয আমি অতিশয় শ্ৰীত হইলাম, তোমাকে কখনই ভুলিব না এবং তোমাব বর্ণনা করিতেও ক্রটী কবিব না।” এই রাজার (ঈশ্বরচন্দ্রের) পুর্বে পুৰ্বপুরুষেরা এই নদীতটস্থ প্রাসাদের দক্ষিণ দিকে যে কানন আছে, তাহাতে বিবিধ সুস্বাদু। ফলের বৃক্ষ বোপণ করিষা, তাহার নাম মধুপোল এবং ঐ কাননেব পুর্বাংশে যে উপবন আছে তাহার নাম আনন্দ-কানন রাখেন। মধুপোল অশোক, চম্পক, ”বক, কাঞ্চন, নাগকেশর, মুচুকন্দি, কিংশুক, শান্মলী ইত্যাদি পুষ্পবৃক্ষ-শ্রেণীতে