পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bo রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ ভাষা অধ্যয়ন কবিতে আরম্ভ কবেন এবং ইংবাজ গবৰ্ণমেণ্টেব্য অধীনে চাকুবি স্বীকার পূর্বক বামগড, ভাগলপুব প্ৰভৃতি স্থানে কিছুদিন কৰ্ম্ম কবিষ, অবশেষে রঙ্গপুবের কালেক্টর ডিগবী সাহেবের সেরেস্তাদার বা দেওয়ানের পদে প্ৰতিষ্ঠিত হন। ১৮০৩ অব্দে রামকান্ত রায্যের মৃত্যু হয় । পিতাব মৃত্যুর পর তিনি মুবশিদাবাদে গমন কবেন ; এবং সেখানে “তহতুল মোহুদ্দীন” নামক র্তাহার সুপ্ৰসিদ্ধ পারসী ভাষাতে লিখিত গ্ৰন্থ মুদ্রিত ও প্ৰচাবিত করেন। পরে দশ বৎসর বিষয়কৰ্ম্ম কবিয়া তিনি ১৮১৪ খ্ৰীষ্টাব্দে কলিকাতা নগরে স্থায়ী ब्रं* यांनिशी वांग कंब । তিনি কলিকাতায় আসিবার পুর্বে বঙ্গপুবে থাকিতেই ধৰ্ম্মসংস্কার বিষয়ে • তুমুল আন্দোলন উপস্থিত কবিযাছিলেন। সেখানে বিষযকৰ্ম্ম করিযা যে কিছু অবসব পাটতেন, তাহা নানা সম্প্রদায্যের লোকে বা সহিত ধৰ্ম্মালোচনাতে যাপন কবিতেন । সায়ংকালে তাহাব ভবনে ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিত, সাধু, সন্ন্যাসী, মুসলমান মৌলবী, জৈন মাবোয়ার্ডী প্ৰভৃতি অনেক সম্প্রদাযেব লোকের সমাগম হইত। বাজা ভঁহাদেব মধ্যে সমাসীন হই যা সকলেব বান্বিতণ্ডা শুনিতেন এবং যথাসাধ্য মীমাংসা কবিবার চেষ্টা করিতেন। এখানেও তিনি সকল শ্রেণীব নিকটে একেশ্বব বাদ প্ৰচাব কবিতেন । এরূপ জনবব যে, তিনি রঙ্গপুরে থাকিতে পারস্য ভাষায় একেশ্বব বাদ প্ৰতিপাদক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুস্তিকা বচনা করিয়াছিলেন, এবং বেদান্তদর্শন অনুবাদ কবিযাছিলেন । এই সকল আন্দোলনের ফলস্বৰূপ বঙ্গপুরেই তাহাব এক প্ৰবল প্ৰতিদ্বন্দ্বী দেখা দিয়াছিলেন । র্তাহার নাম গৌৰীকান্ত ভট্টাচাৰ্য্য। ইনিও জজ সাহেবেব দেওয়ানীপদে প্ৰতিষ্ঠিত ছিলেন ; অনেক লোক ইহাবও অনুগত ছিল। ইনি রামমোহন বায়ের মত খণ্ডনের উদ্দেশে “জ্ঞানাঞ্ছন” নামে একখানি গ্ৰন্থ বচনা কবেন, সেই গ্ৰন্থ ১৮৩৮ সালে কলিকাতাতে সংশোধিত আকারে さで g羽 | ইহা সহজেই অনুমিত হইতে পারে যে, এই সকল আলোচনা ও গ্ৰন্থ-প্রচার দ্বারা দেশ মধ্যে সর্বত্রইট আন্দোলন স্রোত প্ৰবাহিত হইয়াছিল । সুতরাং তাহার কলিকাতা আগমনেব পুর্বেই তাহাব প্রবত্তিত আন্দোলন-তবঙ্গ এখানে পৌছিয়াছিল। তিনি কলিকাতাতে পদাৰ্পণ করিবামাত্রই অগ্রসর, উদাব, চিস্থাশীল ও সংস্কার-প্ৰয়াসী কতিপয় ব্যক্তি তাহার সহিত সম্মিলিত হইলেন । এতদ্ভিন্ন কতকগুলি বিষয়ী লোক তাহাকে পদস্থ ও ক্ষমতাশালী জানিয়া তাহাব দ্বারা স্বীয় স্বীয় স্বার্থসিদ্ধি করিবার মানসে। তঁহাকে আশ্রয় করিলেন । তিনি এই সকলকে লইয়া ১৮১৫ সালে “আত্মীয়-সভা” নামে একটি সভা স্থাপন করিলেন। তাঙ্গাতে বেদাস্তুধৰ্ম্মের ব্যাখ্যা ও বিচার হইত। শাস্ত্রীষ বিচারে সহবেব অনেক বড় বড লোক মধ্যে মধ্যে উপস্থিত থাকিতেন । এ সম্বন্ধে একদিনের ঘটনা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ১৮১৯ খ্ৰীষ্টাব্দে স্বত্ৰহ্মণ্য