পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ (নিউ এজ ২য় সংস্করণ) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांवठट्र गांशिी ७ ८९बांौन बनवांख গ্রন্থাবলী অধীত হইত, সেই সকল শিক্ষকের মনও উক্ত গ্ৰন্থাবলী ফরাসিবিপ্লবজনিত স্বাধীনতা-প্রবৃত্তিতে সিক্ত ছিল বলিলে অত্যুক্তি হয় না। বঙ্গীয় যুবকগণ যখন ঐ সকল শিক্ষকের চরণে বসিযা শিক্ষা লাভ করিতে লাগিলেন এবং ঐ সকল গ্ৰন্থাবলী পাঠ করিতে লাগিলেন তখন তাহদের মনে এক নব আকাজক্ষা জাগিতে লাগিল। সর্বপ্রকার কুসংস্কাব, উপধৰ্ম্ম ও প্ৰাচীন প্ৰথা ভগ্ন করিবার প্রবৃত্তি র্তাহাদের মনে প্ৰবল হইয়া উঠিল। ভাঙ্গ, ভাঙ্গ, ভাঙ্গ, এই তাহদের মনেব ভাব দাডাইল । ইহাও অতিরিক্ত পাশ্চাত্য পক্ষপাতিত্বোব অন্যতম কারণ। ফরাসি-বিপ্লবের এই আবেগ বহুবৎসব ধরিয়া বঙ্গসমাজে কাৰ্য্য করিয়াছে; তাহার প্রভাব এই সুদূর পর্য্যন্ত লক্ষ্য করা গিয়াছে। ষে ১৮২৮ সালের মাৰ্চমাসে ডিবোজিও হিন্দুকলেজেব শিক্ষক হইয়া আসিলেন, সেই মাৰ্চমাসেই তদানীন্তন গবর্ণব জেনেরাল লর্ড আমহাষ্ট এদেশ পরিত্যাগ করিলেন। তখন তাহার পদাভিষিক্ত লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক সমুদ্রপথে আসিতেছেন। পববৰ্ত্তী জুলাই মাসে লডর্ব উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ক এদেশে পৌছিলেন। বঙ্গে মণিকাঞ্চনের যোগ হইল। একদিকে রামমোহন রায়ের প্রবত্তিত ধৰ্ম্ম ও সমাজ সংস্কারের আন্দোলন এবং নবপ্রবত্তিত ইংরাজী শিক্ষার উন্মাদিনী শক্তি, অপবদিকে বেণ্টিঙ্ক বাহাদুরের শুভাগমন,-বিধাতা যেন সময়োপযোগী আযোজন করিলেন । এই নবযুগের। প্ৰবৰ্ত্তনের সময সর্বোচ্চ পদাধিষ্ঠিত রাজপুরুষের যে দুইটি সদগুণের বিশেষ প্ৰযোজন ছিল, লডর্ব উইলিয়ম বেণ্টিঙ্কে সেই গুণদ্বয় পুর্ণমাত্রাতে বিদ্যমান ছিল। তঁহাতে কৰ্ত্তব্য-নিৰ্দ্ধারণের পুর্বে ধীরচিত্ততা, বিচারশীলতা, সকল দিক দেখিয়া কাজ কবিবার প্রবৃত্তি, যেমন দেখা গিয়াছিল, কৰ্ত্তব্য পথ একবার নিৰ্দ্ধিারিত হইলে তদবলম্বনে দৃঢ়চিত্ততা তেমনি দৃষ্ট হইয়াছিল। সহমরণ নিবারণ, ঠগীদমন, ইংরাজী শিক্ষা প্ৰচলন, মেডিকেল কালেজ স্থাপন প্ৰভৃতি সমুদয় কাৰ্য্যে তঁাহাব গুণের সম্যক পরিচয় প্ৰাপ্ত হওয়া গিয়াছিল। তিনি এদেশের সর্ববিধ উন্নতির সহায় হইবেন এই ংকল্প করিয়া রাজকাৰ্য্যের ভার গ্ৰহণ করিয়াছিলেন এবং যে সপ্ত বৎসর গবর্ণর জেনেরালের পদে প্ৰতিষ্ঠিত ছিলেন, সেই ব্ৰত পালন করিয়াছিলেন। এজন্য তিনি তাহার স্বদেশীযদিগের অপ্ৰিয় হইয়াছিলেন। লডর্স উইলিয়াম বেণ্টিঙ্ক এদেশে পদাৰ্পণ করিলে রামমোহন রায়ের কাৰ্য্যোৎসাহ বাড়িয়া গেল। তাহার বন্ধু উইলিয়ম আডাম ত্রীশ্বর বাদ পরিত্যাগ করিয়া একেশ্বর-বাদী হওয়ার পর তাহাকে শ্ৰীয়ামপুরের বাপ্তিষ্টমিশনারিগণের সংশ্ৰব পরিত্যাগ করিতে হয়। তদবিধ শ্ৰীরামপুরের মিশনুয়ারিগণ রামমোহন রায়ের প্রতি জাতক্ৰোধ হন ; এবং বৈরীভাবে তঁহাকে আক্রমণ করিতে আরম্ভ করেন। এই উপলক্ষে শ্ৰীষ্টীয়দিগের সহিত রামমোয়ূন রায়ের ঘোরতর বাগুযুদ্ধ উপস্থিত হয়। রামমোহন রায় উপযুপরি