পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্যজাতির যুদ্ধাস্ত্র। $ጓ “শক্তিৰ্ধস্তদ্বয়োৎসেধ তিৰ্য্যকৃ গতিরনাকুল । তীক্ষজিহোগ্রনখর ঘণ্টানাদভয়ঙ্করী ॥ ব্যাদিতাস্তাতিনীলা চ শক্ৰশোণিতরঞ্জিত । অস্ত্রমালা পরিক্ষিপ্ত সিংহাস্ত ঘোরদর্শন ॥ বৃহৎসরূদুরগমা পৰ্ব্বতেন্দ্রবিদারিণী। ভূজদ্বরপ্রেরণীয়া যুদ্ধে জয়বিধায়িনী " এ বর্ণনা দেখিয়া শক্তির প্রকৃত গঠন বা আকার স্থির করা যায় না। এক্ষণে আমরা যেরূপ ভাবের সংস্কৃত অবগত আছি, তদনুরূপ প্রথায় ইহার বঙ্গানুবাদ করিলাম , যদি কেহ পারেন ত বুঝিয়া লইবেন। শক্তি অনধিক দুই হাত লম্বা সিংহের স্তাষ মুখ । জিহা আছে, তাহা অতি তীক্ষ। নখর আছে, তাহ ও তীক্ষ। বৃহৎসরু অর্থাৎ ধরিবার মুটু বা স্থানটা বৃহৎ। দেখিতে অতি ভীষণ, ঘণ্টানাদের দ্বাবা ভয় জনক, শক্ররক্তে রঞ্জিতাঙ্গ, অস্ত্রজালে বিজড়িত, গাঢ় নীলবর্ণ, অত্যন্ত দূবগামিনী, তিৰ্য্যকৃগতিযুক্ত, এবং পৰ্ব্বতেন্দ্র হিমগিরিকেও বিদীর্ণ করিতে সক্ষম, যুদ্ধে জয়দায়িনী, এতদ্ৰপিণী শক্তিকে দুই হস্তে উঠাইয় প্রেরণ করিতে হয়। এই ঘোরকপিণী শক্তি ছয় প্রকার মার্গ অর্থাৎ ক্রিয়ার আশ্রিত। প্রথম ক্রিয়া উত্তোলন, দ্বিতীয় ভ্রমণ অর্থাৎ যুবাণ, তৃতীয় বল গন অর্থাৎ আস্ফালন, চতুর্থ নমন অর্থাৎ উদ্ধে আস্ফালিত করিয়া নীচুবাগে ধরা, পঞ্চম মোচন অর্থাৎ লক্ষ্যোপরি নিক্ষেপ, ষষ্ঠ ভেদন অর্থাৎ লক্ষ্যের অঙ্গ ভেদ। এই ছয় প্রকার শক্তিকাৰ্য্য বৈশম্পায়নোক্ত ধনুৰ্ব্বেদেও লিখিত আছে। যথা— তোলনং ভ্রমণঞ্চৈব বল গনং নমনং তথা মোচনং ভেদনঞ্চেতি যন্মগ{ঃ শক্তিসংশ্রিতীঃ ॥ দ্রবণ–এই অস্ত্রটা দুই প্রকার। ক্ৰণ বলিলে সাধাৰণত মূগর বিশেষ বুঝায়, কিন্তু বৈশম্পায়নেক্তি ধনুৰ্ব্বেদের বচন পৰ্য্যালোচনা করিলে ইহা এক প্রকার পরশু অর্থাৎ টাঙ্গী বা কুঠারাস্ত্র বলিয়া নিণাত হয়। যথা— দ্রুঘণস্থায়সঙ্গ: স্তং বক্রগ্ৰীবোৰ্বহচ্ছিরাঃ । পঞ্চাশদকুলীৎসেধো মুষ্টিসষ্মিতমণ্ডলঃ ॥ প্রবণ অক্সটলৌহময় ইহার গ্রীবাস্থানট বাক, শীর্ষ স্থান প্রশস্ত, ৫• অঙ্গুল উচ্চ অর্থাৎ লম্ব এবং মুষ্টিপরিমিত মণ্ডল অর্থাৎ গোল। এই দ্রুঘণ অস্ত্রের চারি প্রকার ক্রিয় নির্দিষ্ট আছে। যথা—