পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a8ぐ。 ঐতিহালিক-রহস্ত ।--দ্বিতীয় ভাগ । সিংহলদেশীয় প্রবাদ অনুসারে গ্রন্থকার সিংহলদ্বীপবাসী ছিলেন । মহাবংশে উল্লেখ আছে, মহারাজ পরাক্রমবাহু চোল দেশীয় ( তাঞ্জেীর ) একজন স্থবিরের নিকটে বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়াছিলেন । ইহাতে বোধ হয়, উক্ত নৃপতির সময় হইতে তাঞ্জের দেশীয় জ্ঞানী ও নানাশাস্ত্রদর্শী বৌদ্ধগণ সিংহলদ্বীপে উপনিবেশ করিয়াছিলেন। রূপসিদ্ধি গ্রন্থকারের মুখবন্ধ শ্লোকায়সারে তাঁহাকে চোলদেশবাসী বোধ হইতেছে । মৌগগলায়ণ ৰ্যাকরণ –এখানিও বিখ্যাত বৌদ্ধ গুরু মৌগিলায়নপ্রণীত। “বিনয়াথসমুচ্চয়” ও “পঞ্চিকাপদীপ” গ্রন্থে এবং বিখ্যাত আচাৰ্য্য মেধাস্করের গ্রন্থে এই গ্রন্থকারের বিশেষরূপে গুণ কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। মৌমূগল্যায়ণ So 6:0 হইতে ১১৮৬ খৃঃ অব মধ্যে পরাক্রমবাহুর রাজ্যকালে অনুরাধাপুরের খুপারাম মঠের পুরোহিত ছিলেন। এখানি কচ্চায়নকৃত ব্যাকরণ ও সদানীতি হইতে বিভিন্ন প্রকার রীতিতে রচিত। সমুদায় ব্যাকরণ ষষ্ঠভাগে বিভক্ত। যথা— প্রথম সন্ধি, দ্বিতীয় সি-আদি, তৃতীয় সমাস, চতুর্থ নাদি, পঞ্চম খাদি, এবং ষষ্ঠ ত্যাদি। গ্রন্থের প্রারম্ভ বাক্য যথা— “সিদ্ধ সিদ্ধ গুণম সাধু নমাসিত্ব তথাগতম্। সধৰ্ম্ম সত্যম ভাবিষন মগধন শব্দ লক্ষণম্।” অর্থাৎ প্রথমে বিনীতভাবে বুদ্ধ, ধৰ্ম্ম, এবং সত্যকে বন্দনা করিয়া আমি মাগধী ভাষার ব্যাকরণ ব্যাখ্যা করিতেছি । গ্রন্থের সমাপ্তিশ্লোক যথা – “তস্ত ভূতি সমাসেন বিপুলাখ পকাশিনী। রচিত পুন তেনেব সসামু যোত কারিন ॥” এই কয়েকখানি সচরাচর প্রচলিত ব্যাকরণ ভিন্ন পালিভাষায় দীপানি, কচ্চায়নভেদ টীকা, মহাশদনীতি, প্যায়োগসিদ্ধি, গরলদেনীসন্ত, পঞ্চিকাপদীপ, অক্ষতৃপক্ষ প্রভৃতি ব্যাকরণ আছে। বুত্তোদয় -এখনি প্রসিদ্ধ পালিচ্ছন্দেীগ্রন্থ। ইহা গদ্যে ও পদ্যে রচিত। ইহা পিঙ্গল, বৃত্তরত্নাকর প্রভৃতি প্রামাণিক সংস্কৃত ছন্দোগ্রন্থের আদর্শে লিখিত । গ্রন্থকার প্রারম্ভ শ্লোকে লিথিয়াছেন –