পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ । বেদ হিন্দুদিগের মূল ধৰ্ম্মগ্রন্থ এবং ইহা হইতেই অন্যান্ত শাস্ত্র ক্রমে ক্রেমে জন্ম লাভ করিয়াছে। বেদে আর্য্যজাতির অটল বিশ্বাস। আমাদিগের ঐহিক পারত্রিক সকল কাৰ্য্যই বেদমূলক। বেদ অমান্ত করিলে হিন্দুধর্মের জীবন নাশ করা হয়, সুতরাং সনাতন-হিন্দুধৰ্ম্মাবলম্বিগণের বেদ অমান্ত করিবার অধিকার নাই। কি জেন্দ আবেস্তা, কি বাইবল, কি কোরাণ, পৃথিবীর সকল প্রকার ধৰ্ম্মগ্রন্থ মধ্যে বেদ প্রাচীন, এবং কেবলমাত্র ভূমণ্ডলের একমাত্র প্রাচীন গ্রন্থ বলিয়া বিদেশীয় পণ্ডিতগণ যাহার পর নাই ইহার আদর করিয়া থাকেন। বিদ ধাতু হইতে বেদ শব্দ, এজন্ত ইহার প্রাকৃতিক অর্থ এই যে, জ্ঞানলাভ অথবা শ্রেয়োলাভ হয় যদ্বারা, তাহারই নাম বেদ । বেদের অপর নাম ত্রয়ী অর্থাৎ তিন বেদ—ঋক্, যজুঃ, সাম। ঋগ্বেদে এই তিন বেদের উল্লেখ আছে ৷ যথা— “ অহে বুপ্রিয় মন্ত্ৰং মে গোপায়া যমৃষয়ন্ত্রয়ীবেদা বিহুঃ ঋচে যজুৰি সামানি।” ভগবান মন্ত্র কহেন – “ অগ্নিবায়ুরবিভ্যস্তু ত্ৰয়ং ব্ৰহ্ম সনাতনং। ছদোহ যজ্ঞসিদ্ধার্থ-মৃগৃ্যজুঃসামলক্ষণং ” অর্থাৎ—তিনি (ঈশ্বর ) যজ্ঞকাৰ্য্য সিদ্ধির নিমিত্ত অগ্নি হইতে সনাতন ঋকবেদ, বায়ু হইতে যজুৰ্ব্বেদ, এবং স্বৰ্য্য হইতে সামবেদ উদ্ধৃত করিলেন। উপনিষদের সময় চারি বেদ প্রচলিত ছিল। যথা— “তস্তৈতস্ত মহতো ভূতন্ত নিশ্বসিতমেতদ্ব্যদৃশ্বেদে যজুর্বের্ণঃ সামবেদোহথৰ্ব্বাঙ্গিরসঃ ” ইত্যাদি— পণ্ডিত ভরতচন্দ্র শিরোমণি কর্তৃক অমুবাদিত । মনুসংহিতা ১২ পৃষ্ঠা দেখ। ,