পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৩৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধজাতক গ্রন্থ বৌদ্ধগণের জাতক নামে এক প্রকার ধৰ্ম্ম-গ্রন্থ আছে। “খুদকনিকের” দশম তাগ “জাতকৰ্ম” নামে খ্যাত। বৌদ্ধের কছে “পল্লাম ধিকানি পরাশ জাতক শতানি” অর্থাৎ ৫৫০ শত জাতক আছে। এই সকল গ্রন্থ আদ্যোপান্ত পালিভাষায় রচিত। ইহার টীকা সিংহলীয় ভাষায় লিখিত হইয়াছে। কেহ কেহ অনুমান করেন, এই টীকা অশোক-পুত্র মছেজ খৃষ্ট জন্মের ৩•• শত বৎসর পূৰ্ব্বে রচনা করিয়াছিলেন । বৌদ্ধশাস্ত্রপ্রবীণ বুদ্ধঘোষ নামক মগধদেশীয় ব্রাহ্মণ ৫০০ শত খৃষ্টাব্দে জাতক গ্রন্থের কোন কোন অংশের অবতরণিক লিখিয়া প্রকাশ করেন। এই সকল জাতকে বুদ্ধের পূৰ্ব্বজন্মের বিবরণ, তথা নানা উপদেশপুর্ণ গল্প আছে। বৌদ্ধের কছেন, জাতকনিচয় শাক্যসিংহের মুখ হইতে বিনির্গত হইয়াছে এবং এজন্তই ইহা ধৰ্ম্মপুস্তকের অন্তর্গত। সকল জাতকেই বুদ্ধদেবের অলৌকিক ক্ষমতা ও র্তাহার গুণাবলী বর্ণিত আছে। যথা—“দেবাত্তানি আরম্ভ ভাষিতানি সকানি জাতকানি।" আমরা অদ্য “দশরথ জাতকের” বিবরণ নিম্নে অনুবাদ করিয়া দিতেছি। ইহাতে বেছের ক্রীচরিত যেরূপ বর্ণন করিয়াছেন, পাঠকগণ তাহ অবগত হইতে পারিবেন। একজন বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী পিতৃবিয়োগশোকে নিতান্ত কাতর হইলে, তাহার শোকসত্ত্বগু হৃদয় শীতল করিবার জন্ত বুদ্ধদেৰ গল্পচ্ছলে তাহাকে নিম্নলিখিত উপদেশ দিয়াছিলেন। পুরাকালে বারাণসীতে দশরথ নামক একজন প্রবল পরাক্রমশালী নৃপতি বাস করিতেন। তিনি কিছুকাল সাংসারিক বৃথা আমোদে কালক্ষেপ করিয়া অবশেষে স্থায়পরতার সহিত রাজ্য শাসন করিয়াছিলেন। র্তাহার ষোড়শ সহুল পত্নী ছিল। তাছার মধ্যে প্রধান মহিষীর দুই পুত্র ও এক কল্প জন্সিয়াছিল। ইহার মধ্যে জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম রাম ও অপর কুমার লক্ষ্মণ 8ፃ