পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী প্রথম ভাগ.djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেমচন্দ্র । "রাসমালা” নামক গুজরাটের পুরাবৃত্ত মধ্যে লিখিত আছে, হেমচন্দ্র ব৷ হেমাচাৰ্য্য মহারাজ কুমারপালের রাজ্যকালে বর্তমান ছিলেন। ওদায়নের জৈনাচাৰ্য্যগণ তাহার জীবনচরিত সংক্রান্ত ষে যে বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন, তাঁহাই রাসমালায়” সঙ্কলিত হইয়াছে, এবং আমরাও তাঁহাই এস্থলে গ্রহণ করিয়া প্রস্তাব আরম্ভ করিলাম। হেমচক্সের পিতার নাম চাচিঙ্গ এবং মাতার নাম পাহিনী। ইহার উভয়ে গুজরাটেশীল করিতেন ; হেমচন্দ্রের প্রকৃত নাম চংদেব। তাহার পিতার হিন্দুধর্শ্বে অটল ভক্তি ছিল, কিন্তু পাহিনী দেবী গোপনে জৈন ধৰ্ম্মে বিশ্বাস করিতেন। হেমচন্দ্রের অষ্টমবর্ষ বয়ঃক্রম কালে একদা দেবচন্দ্র আচাৰ্য্য, তাহার অনুপম মুখশ্ৰী এবং দেবতুল্য কাস্তি সন্দর্শনে তাহার পিতার অবর্তমানে দেবীর সন্মঞ্জি ক্রমে, তাহাকে করুণাবতী-মন্দিরে জৈন ধৰ্ম্মে দীক্ষিত ক छछ गईब्रt গেলেন । চাচিঙ্গ বাট প্রত্যাগত হইয় তাহার পুত্রকে দেখিতে না পাইয়। যার পর নাই পরিতাপিত হইলেন এবং অনতিবিলম্বে করুণাবতী-মন্দিরে চঙ্গদেবের উদ্দেশে গমন করিলেন । তথায় দেবচন্দ্র আচার্য্যের নিকট জ্ঞাত হইলেন যে, তাহার তনয় হেমচন্দ্র নাম গ্রহণ করিয়া উদয়ন মন্ত্রীর আবাসে জৈন ধৰ্ম্মের গ্রন্থাবলী অধ্যয়ন করিতেছেন । হেমচন্ত্রের মন জৈনাচাৰ্য্যবর্গের উপদেশে এত আকৃষ্ট হইয়াছিল যে, তিনি পিত্রালয়ে কোন ক্রমেই প্রত্যাগত হইলেন না। কিয়ৎকাল মধ্যেই তিনি স্বরি বা আচাৰ্য্য পদ প্রাপ্ত হইয়া ক্রমে সুবিখ্যাত হইয়া উঠিলেন । সসৈন্তে কুমারপাল মালবদেশে প্রবেশ কস্থিলে উদয়ন মন্ত্রীর দ্বারা তিনি রাজসমীপে নীত হইলেন, এবং তাহান্ন ৰাক্যালাপে নৃপতির হৃদয় অতীব প্রফুল্প হইল। রাজা হেমাচাৰ্য্যের উপদেশাম্বলায়ে সাগরের তরঙ্গমালায় ভগ্নপ্রায় দেবপত্তনে সোমেশ্বরের মন্দির বহু ব্যয়ে সংস্কার করেন, এ বিষয় উক্ত মন্দিরের প্রস্তরফলকে (৮৫• ) , বল্লভী সম্বৎ মধ্যে সম্পন্ন হয়, খোদিত ছিল। এই কীৰ্ত্তির জন্ত প্রস্তরফলকের লিপিতে কুমারপালের ভুরি ভুরি প্রশংসা করা হইয়াছে। রাজা কুমারগাল