পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8b- রামমোহন-গ্ৰন্থাবলী পরম্পরায় কর্ণগোচর হয়, অতএব ভগবান মহেশ্বর ওই বচনপ্ৰাপ্ত “যাত্ৰা” শব্দের অর্থ আমাদের কর্ণে পরম্পরায় ইহা কহিয়াছেন যে সাংসারিক ব্যবহার অর্থাৎ সংস্কার ও বিত্তোপার্জন, পোষ্যবৰ্গ পালন ও আহারাদি, যাহা গৃহস্থের জন্যে ইহলোক নির্বাহে আবশ্যক, তাহা আগমোক্ত বিধানে সম্পাদন করিবেন ( লোকন্তু ভুবনে জনে ইত্যািমর, যাত্রা স্যাৎ পালনে গতৌ ইতি) এবং ভগবান শ্ৰীধর স্বামী (শরীরযাত্ৰাপি চ তে ন প্ৰসিদ্ধ্যেদকৰ্ম্মণ: ) এই গীতা বচনের অর্থে লিখেন যে, কৰ্ম্মমাত্ৰও যদি তুমি না করি তবে শরীর নির্বাহও হইতে পারে না, এ স্থলে শরীর যাত্রা শব্দে শরীর নির্বাহ শ্ৰীধর স্বামীর কৰ্ণে ভগবান কৃষ্ণ কহিয়াছিলেন কি না ইহার নিশ্চয় ধৰ্ম্মসংহারিক অদ্যাপি বুঝি করেন না। আর ঐ বচন অবলম্বন করিয়া ১৪৭ পৃষ্ঠে ॥১৭ পংক্তিতে দ্বিতীয় প্রশ্ন করেন যে “ঐ বচনে জ্ঞানীদের স্ব২ ধৰ্ম্মানুসারে নিবেদিত মাংসাদি ভোজনই বা কিরূপে প্ৰাপ্ত হয়” । উত্তর, আগমোক্ত বিধানে যদি সংসার নির্বাহাৰ্থ আহারাদি করিতে ব্ৰহ্মনিষ্ঠ সমর্থ হইলেন তবে ব্ৰহ্মাৰ্পণ সংস্কারে আগমবিহিত মাংসাদি ভোজন অবশ্য প্ৰাপ্ত হইল ইহার বিশেষ বিবরণ পরিচ্ছেদের শেষে লিখা গেল পণ্ডিতেরা যেন অবলোকন করেন। আমরা প্ৰথম উত্তরের ১৮ পৃষ্ঠে লিখিয়াছিলাম যে “ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাজক্ষীরা কিরূপে জানিয়াছেন যে আনিবেদিত মাংস ভোজন ও পরম হর্ষে ছেদন কেহ২ করিয়া থাকেন তাহার বিশেষ লিখেন নাই তিনি কি তত্তৎকালে উপস্থিত হইয়া নৃত্য কি উৎসাহ করিতে দর্শন করিয়াছেন।” ইহার উত্তরে ধৰ্ম্মসংহারক ১৩৫ পৃষ্ঠে লিখেন যে “ভাক্ততত্ত্বজ্ঞানীর কি ভ্ৰান্তি, দর্শনের অপেক্ষা কি, দশের মুখে কে হস্ত প্ৰদান করে দশের বচনই সত্যাসত্যের প্রমাণ হয়”। উত্তর, দশের মুখই প্ৰমাণ এই নিয়ম যদি ধৰ্ম্মসংহারিক করেন তবে এ বিশিষ্ট সন্তান আমাদের প্রতি যে পান ও হিংসার উল্লেখ করিবেন ততোধিক ওই দশ মুখ প্ৰমাণ দ্বারা তাহার অতি মান্যের ও অতি প্ৰিয়ের বর্ণনাবাহুল্য আছে কিন্তু আমরা সে উদ্বেগজনক বাক্য কহিব না। ১৪৮ পৃষ্ঠে লিখেন যে “অতি শিশু ছাগলকে অল্প মূল্যে ক্রয় করিয়া কাহাঁর বা পুরুষাঙ্গ হীনপূর্বক উত্তম আহারাদি দ্বারা পালন করত-অঙ্গুলির দ্বারা ভোজনের উপযুক্ততানুপযুক্তত্ব পরীক্ষণ করিয়া যখন বিলক্ষণ হৃষ্টপুষ্টাঙ্গ দর্শন করেন তৎকালে পরম হর্ষে বন্ধু বান্ধবের সহিত স্বহস্তে বহু প্ৰহারে ছেদনানন্তর স্বোদর পুরণ করিয়া থাকেন” উত্তর, এরূপ অলীক কথন যাহার স্বাভাবিক চিত্ত তাহা হইতে কদাপি হয় না, যদ্যপি এ অমূলক মিথ্যার সমুচিত উত্তর এই ছিল যে হিন্দুর সর্বথা, অভক্ষ্য যে পশু তাহার বৎসের ঐ রূপ পালন ও পরে হিংসন ধৰ্ম্মসংহারিক স্বয়ং