পাতা:রামমোহন গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

PT 5 S°ነGr বেদব্যাস কাশীখণ্ডে স্বয়ং সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে পরমারাধ্য মহেশ্বরের মাহান্ত্র্যের স্বল্পত দৰ্শাইয়া যদি কদাপি কোনো উক্তি স্বতঃ পর্যতঃ করিয়াছেন তাহাতে পরমারাধ্যের হেয়ত্ব সূচনা না হইয়া তাহারি হস্তস্তম্ভন ও কণ্ঠরোধ ইত্যাদি বিড়ম্বনার কারণ হইয়াছিল, এইরূপ তন্ত্ররত্নাকরেও প্ৰাপ্ত হইতেছে তথাহি (হত্যুদৰ্পস্তদা ব্যাসো, ভৈরবেণ মহাত্মনা। কম্পিতোরুশির গ্ৰীবস্ততঃ কাশ্যা বিনির্যযৌ। তেনাহুতাঃ সুর নদী যমুনা চ সরস্বতী। গোদাবরী নৰ্ম্মদ চ কাবেরী বাহুদা তথা । দেবী দেবর্ষায়: সিদ্ধা ইচ্ছন্তোপি হিতং মুনেঃ । ভৈরবস্ত ভয়াদ্দেবি ন জগর্ব্যিাসসন্নিধৌ।। ভগ্নোদ্যমে নিরানন্দঃ শোকসংবিগ্নমানসঃ। কিং করোমি কি গচ্ছামি জল্পতি স্ম পুন: পুনঃ । ) অর্থাৎ বেদব্যাস দ্বিতীয় কাশীনিৰ্ম্মাণে উদ্যত হইয়া কেবল ক্ষোভ প্ৰাপ্ত হইলেন । পুনরায় ২১১ পৃষ্ঠের প্রথম অবধি কুলধৰ্ম্মবিধায়ক তন্ত্রকে শ্রুতিবিরুদ্ধ অপবাদ দিয়া অগ্ৰাহ কহিয়াছেন ইহার উত্তর ২২৮ পৃষ্ঠ অবধি বিশেষরূপে লিখা গিয়াছে অতএব পুনরায় আমোড়নে প্ৰয়োজনাভাব ৷ ভাগবতের, ব্ৰহ্মবৈবৰ্ত্তের ও তন্ত্রের বচন লিখিয়া পরে ২১৬ পুষ্ঠে ৮ পংক্তি অবধি লিখেন “যে মহানিৰ্ব্বাণাদি তন্ত্রের বচনে কেবল পুরাণাদি শাস্ত্রের নিন্দ বোধ হইতেছে যেহেতু সেই বচনে তৎপথবিমুখ ব্যক্তিসকলের প্রতি পাষণ্ড ও ব্ৰহ্মঘাতক ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগ এবং পুরাণাদি শাস্ত্রকে অর্কক্ষীর এবং ষড়দর্শনকে কৃপ কহিতেছেন, উত্তমের রীতি এই যে পরের প্রশংসার দ্বারা আপনিও প্ৰশংসিত হয়েন অধমে তাহার বিপরীত।” উত্তর, প্রথমত সাদৃশ্য দ্বারা কোনো শাস্ত্রের প্রতি “অধম” এ পদ প্রয়োগ করা অতি অধম ও ধৰ্ম্মসংহারক হইতেই সম্ভব হয়। দ্বিতীয়ত, পুরাণাদি শাস্ত্রের নিন্দা কথন তন্ত্রশাস্ত্ৰে আছে তাহার প্রমাণের উদ্দেশে ধৰ্ম্মসংহারক লিখেন যে “সেই বচনে তৎপথবিমুখ ব্যক্তিসকলের প্রতি পাষণ্ড ও ব্ৰহ্মঘাতক ইত্যাদি শব্দের প্রয়ােগ এবং পুরাণাদি শাস্ত্রকে অর্কক্ষীর ও ষড়দর্শনকে কুপ কহিতেছেন”৷ উত্তর, তন্ত্রে দেখিতেছি যে তন্ত্রশাস্ত্ৰবিমুখ ব্যক্তিকে পাষণ্ড কাহেন যথার্থই বটে যেহেতু তন্ত্রমতবিমুখ ব্যক্তি প্ৰায় এদেশে অপ্রাপ্য, কিন্তু ধৰ্ম্মসংহারকের লিখিত পদ্মপুরাণীয় বচন সমূলক হইলে তাহাতে স্পষ্ট শিবশাস্ত্রকে পাষণ্ডশাস্ত্র কহিয়াছেন। অতএব বিবেচনা কৰ্ত্তব্য যে সাক্ষাৎ নিন্দোক্তি কোথায় লিখিত. আছে। তৃতীয়ত, যেমন আগমে শিবপথবিমুখকে পাষণ্ড কহেন সেইরূপ শ্ৰীভাগবতাদি বিষ্ণুপ্ৰধান গ্রন্থে বিষ্ণুভক্তিবিমুখকে চণ্ডাল ও অন্য উপাসককে দুর্বাক্য কহিয়াছেন, এইরূপ মাহাত্ম্যপ্ৰদৰ্শক নিন্দাবােধক বচনের দ্বারা শ্ৰীভাগবত্যাদি গ্ৰন্থ কি অধম হইবেন ? ( বিপ্ৰান্দ্বিষড় গুণযুতােদরবিন্দনাভিপােদারবিন্দবিমুখাৎ শ্বপচং বরিষ্ঠং ।