পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । २९ ७ ] মন্দ্রিগণের সহিত পরামর্শ করিয়া গুঢ়চর নিযুক্ত করিলেন । তাহারা যতিরাজের সমীপবৰ্ত্তী হইলেই তিনি মধুর সম্ভাষণে তাহাদিগকে পরিতুষ্ট করিয়া স্বীয় অভিপ্রায় জানাইলেন এবং ঐ কুরগণের সহিত রাজনীতিজ্ঞ কতিপয় শিষ্ণু প্রেরণ করিলেন । দিল্লীশ্বর শুিদের মুখে তিরাজের আগমন সংবাদ পাইয়া নগরের দ্বারদেশ পর্য্যন্ত অগ্রসর হইয়া তাহার অভ্যর্থনা করিলেন । , পরস্পর অভিৰাদন প্রত্যভিবাদন শেষ হইলে সম্রাটু যতিয়ার্জের আগমনের কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । যতিরাজ স্বীয় অভিপ্রায় বিজ্ঞাপন করিলে তিনি বলিলেন “দক্ষিণাপথ বিজয় কালে আমার সৈন্যেরা বহু শিবমূৰ্ত্তি ও বিষ্ণুমুৰ্ত্তি হরণ করিয়া আনিয়াছে। ঐ সকল বিগ্রহ একস্থানে রাশীকৃত কবিয়া রাখা হইয়াছে। উহ চুইতে যেট আপনার ইচ্ছা লইয়া যান, উছাতে আমার কোনই আপত্তি নাই। যতিরাজ সেই রাশীকৃত দেবমূৰ্ত্তির নিকটবৰ্ত্তী হইয়া প্রত্যেক মুক্তি উত্তমরূপ প্রত্যক্ষ করিলেন কিন্তু ‘রমাপ্রিয়’ মূৰ্ত্তি দেখিতে পাইলেন না । তাহার পর, পুনরায় দিল্লীশ্বরের নিকট গিয়া বলিলেন “এই সকল মূৰ্ত্তির মধ্যে আমার হৃদয়ের অভীষ্টদেবকে দেখিতে পাইলাম না, অতএব অন্য স্থানে মামার অভীষ্টদেব আছেন, তাহাকে অর্পণ করুন।” ঐ কথায় দিল্লীশ্বর ঈষৎ হাসিয়া বলিলেন “যদি রমাপ্রিয় মূৰ্ত্তি আপনার ঈদয়েব দেবতা হন, তাছা হইলে আপনি ডাকুন, তিনি স্বয়ংই মাসিবেন।” যতিরাঙ্গ দিল্লীশ্বরের বাক্যে লজ্জিত ও নিরুত্ত্বর হইলেন এবং স্বস্থানে প্রত্যাগমনপূৰ্ব্বক চিন্তা ও শোকে কাতর ইয়া শয়ন করিলেন। কথিত আছে —রমাপ্রিয় দেব যতিরাজকে স্বপ্নে বলিলেন "ওহে যতিরাজ ! বৃথা শোক কর কেন ? আমি १९