পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চত্রিংশ সৰ্গ । অনন্তর রাবণ শূৰ্পণখার এই রোমহর্ষণ বাক্য শ্রবণ করিয়া, মন্ত্রিগণের সহিত ইতিকর্তব্য নির্ণয়ে প্রবৃত্ত হইল, এবং এই বিয়য়ের দোষ গুণ সম্যক বিচার করিয়া, উহাদের মত গ্রহণ পূর্বক প্রচ্ছন্নভাবে যানশালায় প্রবেশ করিল । তথায় গিয়া সারথিকে কহিল, স্থত ! তুমি এক্ষণে রথ যোজন কর । সারথি এইরূপ অভিহিত হইবামাত্র তৎক্ষণাৎ উহার অভিলষিত উৎকৃষ্ট রথযান আনয়ন করিল । উছা স্বর্ণময় ও রত্নখচিত । উহাতে স্বর্ণভূষণশোভিত পিশাচবদন গর্দভ যোজিত হইয়াছে । রাক্ষসরাজ রাবণ ঐ মনোরথগামী রথে আরোহণ পূর্বক জলদ-গম্ভীররবে সমুদ্রের অভিমুখে চলিল । উহার মস্তকে শ্বেতচ্ছত্র, উভয় পার্শ্বে শ্বেত চামর, সৰ্ব্বাঙ্গে স্বর্ণালঙ্কার। ঐ বীর মুদৃশ্য পরিছদে অপূৰ্ব্ব শোভা পাইতেছে । সে সুরগণের পরম শক্র ও ঋষিঘাতক। উছার মস্তক দশ, হস্ত বিংশতি, এবং বর্ণ বৈদুৰ্য্য